সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকারকে আহ্বান করব সারা দেশের মানুষের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। ১০ মাস লাগে না এ সংস্কার করতে, নির্বাচন দিতে। অথচ আপনারা ১০ মাস পার করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। এর মধ্যে নির্বাচন দেওয়া খুব একটা বড় সংস্কার বলে মনে করি না। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে চলে যাবেন। আমরা সবাই সহযোগিতা করব। শনিবার (৩১ মে) ঢাকা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বারের সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া, বারের সহসভাপতি শহীদুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সদস্যসচিব নিহার হোসেন ফারুক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির ট্রেজারার আব্দুর রশীদ মোল্লা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূরজাহান বেগম (বিউটি), লাইব্রেরি সম্পাদক নার্গিস পারভীন মুক্তি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মো. ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে জয়নাল আবেদীন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার চেয়েছিল জিয়াউর রহমানকে সবার অন্তর থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তারা চিন্তা করেছিলেন, জিয়ার নাম মুছে ফেলতে। কিন্তু মানুষের মন থেকে তাকে মুছে ফেলা যায় না। তিনি মানুষের অন্তরে গেঁথে আছেন। এর কারণ আছে কয়েকটা। তিনি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন বলেই, স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছিল, এতে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন।
বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষের জীবনে, অন্তরে চিরদিন থাকবেন। তার পরিবার, পরিজনও সংগ্রাম, দুর্যোগ অতিক্রম করে বেঁচে আছেন। আল্লাহ সহায় থাকলে কেউ মেরে ফেলতে চাইলেও পারে না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, পারেনি। আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন। তারেক রহমান বাপের স্মৃতি ধরে রেখেছেন। হাজার মাইল দূরে থেকে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন। আগেও করেছেন, সামনেও করবেন।
এর আগে সকাল ৯টায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা তাদের সন্তানদের নিয়ে আসেন। পরে রেজিস্ট্রেশন শেষে শিশুরা রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও উপস্থিত বক্তব্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।