বাজারে ডিম এবং মুরগির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পেছনে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের ‘কারসাজি ছিল’ বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল- বিপিআইসিসি।
এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠনটি এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চাহিদার সঙ্গে সরবরাহে ফারাক ছিল বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
গত সপ্তাহ জুড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকায় পৌঁছায়। আর ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় ঠেকে।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য পরবর্তীতে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে কারসাজি চিহ্নিত করে জরিমানা করা শুরু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এর পরই শুক্রবার হঠাৎ করে ডিমের দাম ডজনে ৩০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা করে কমে যায়। এদিন প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকা এবং প্রতিকেজি মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
বিপিআইসিসি’র বিবৃতিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক সময়ে খোলা বাজারে ডিম ও মুরগির হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধিতে ভোক্তাদের ভোগান্তি বাড়ায় একই সঙ্গে উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করছে কাউন্সিল।
“এ অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডিমান্ড-সাপ্লাই গ্যাপ ও সুযোগ সন্ধানী মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের মুনাফা লোফার অপপ্রয়াস প্রধানত দায়ী।
ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিপিআইসিসি’র সমন্বয়ে শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়।
গত ১৬ অগাস্ট বিপিআইসিসি’র জরুরি বৈঠকে হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ অগাস্ট পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মুরগির দর ছিল ১৩৬ টাকা।
বাদামি ডিম প্রতিটির দর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা ও সাদা ডিম ৮ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু ওইদিন রাত ১২টার পর থেকে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ও কেরোসিনের নতুন বর্ধিত দাম কার্যকরের ঘোষণা আসে।
সূএ:পূর্বপশ্চিম ডটকম