পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমানকে পরবর্তী পদে (অ্যাডিশনাল আইজি) পদোন্নতি দিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিআইজি মিজানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মো. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শককেও (আইজিপি) এ নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে পরবর্তী পদে পদোন্নতির প্রশাসনিক আপিলের ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে লিখিত রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। যার মাধ্যমে তার পরবর্তী উচ্চ পদে পদোন্নতিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ২৬ মে দেওয়া ওই রায়ের সার্টিফাইড কপি ১ সেপ্টেম্বর হাতে পাওয়ার পর আদালতের রায় অনুসারে মিজানুর রহমান ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি পদোন্নতির সঙ্গে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
রায়ের বিষয়ে মিজানুর রহমানের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার মৌসুমী কবিতা ফাতেমা জানান, পদোন্নতির ফোরাম হচ্ছে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। সেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ও ডিআইজি মিজানুরের পক্ষে এসেছে।
সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় যথাযথ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের পরবর্তী পদোন্নতির ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
এর পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে করা আবেদনে তিনি পদোন্নতির সঙ্গে বকেয়া পাওনাদি পরিষদের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইবুনাল এবং উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে ডিআইজিসহ পরবর্তী উচ্চ পদে পদোন্নতি পেতে তার আর কোন বাধা নেই বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। এবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠনো হলো তার পদোন্নতি চেয়ে।
মো. মিজানুর রহমান ১৭তম বিসিএস (পুলিশ ক্যাডার) পরীক্ষায় প্রথম স্থানসহ সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে ১৯৯৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগ দেন।
২০০৩ সালে অ্যাডিশনাল এসপি ও ২০০৬ সালে এসপি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সর্বশেষ হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই ডিআইজি হিসেবে র্যাংক ব্যাজ পরেন তিনি।