ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করার দাবি জানিয়েছেন চার সদস্য বিশিষ্ট আংশিক প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী এবি জুবায়ের।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এবি জুবায়ের ডাকসুকেন্দ্রিক কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-
১/ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীম উদ্দিন হল ও শেখ মুজিব হলের কেন্দ্র ল্যাবরেটরিতে স্থাপন করা।
২/ কুয়েত-মৈত্রী হল ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কেন্দ্র সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থাপন।
৩/ মনোনয়ন সংগ্রহ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যেসব প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪/ ভোটের জন্য নির্দিষ্ট কোনো আইডি নির্ধারণ করে না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো লিগ্যাল আইডি কার্ড দিয়ে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৫/ প্রার্থীদের মূল নামের বাহিরে পরিচিত নিক নেইম ব্যবহার করা।
৬/ ব্যালট প্যাপারে নাম এবং ব্যালট নম্বরের পাশে ছবি সংযুক্ত করা।
৭/ প্রার্থী নারী শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তা ও সাইবার বুলিংয়ের হাত থেকে রক্ষা করা।
৮/ মাদকাসক্ত কোনো নেতৃত্ব যেনো নির্বাচিত হয়ে না আসতে পারে সেজন্য ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা।
এসময় কেন্দ্রীয় সদস্য সম্পাদক আশিক খান নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বলেন, ‘বহিরাগতরা এখনো পার্কের মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে এ বিষয়টি নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে।
এই প্রার্থী বলেন, ‘অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত থাকা ফ্যাসিবাদী শিক্ষকরা এখনো স্বপদে বহাল আছেন এবং ডাকসু নির্বাচনেও তাদের দায়িত্বে দেওয়া হবে। তাদের স্বপদে বহাল রেখে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। অতিদ্রুত চিহ্নিত এসব শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ ও কেন্দ্রীয় সদস্য সম্পাদক আব্দুর রহমান আল ফাহাদ।