টাঙ্গাইলের বাসাইলে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী লিমা আক্তারকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়াসিমকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানী মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর।
নিহত লিমা আক্তার টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার বাংড়া পূর্বপাড়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী জাহিদ হোসেন ময়নালের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাধর জানান, জাহিদ হোসেন ময়নাল ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। প্রতিমাসে তার পরিবারকে সংসার খরচ বাবদ টাকা পাঠান তিনি। তার স্ত্রী লিমা আক্তার সংসার খরচ চালিয়ে প্রতিমাসে কিছু টাকা জমাতেন। টাকা জমিয়ে তিনি প্রতিবেশী ওয়াসিমকে মুনাফা লাভের আশায় আড়াই লাখ টাকা ধার দেন।
এদিকে ময়নালের দেশে আসার সময় ঘনিয়ে এলে তার স্ত্রী দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। লিমা তার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে এলাকার লোকজনের সামনে ওয়াসিমকে গালমন্দ করেন। টাকা না দিলে সালিশ বসাবেন বলেও জানান। এছাড়াও আইনের আশ্রয় নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন ওয়াসিম।
ঘটনার দিন ১২ এপ্রিল রাতে লিমা তার সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। তখন ওয়াসিম এসে তার দরজায় নক করে বলেন, পাওনা টাকা ফেরত দিতে এসেছেন। লিমা দরজা খুলে দিলে ওয়াসিম তার হাতে থাকা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। তখন লিমার শিশু সন্তান তৌহিদ চিৎকার করলে শ্বশুর-শাশুড়ি ঘুম থেকে ওঠে লিমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় লিমার শ্বশুর জোয়াহের আলী মিয়া গত ১৩ এপ্রিল বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটির ছায়া তদন্ত করে সিআইডি। সিআইডির এলআইসি শাখার একটি চৌকস দল মঙ্গলবার রাতে তাকে আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ওয়াসিমকে।
গ্রেপ্তার ওয়াসিম বাসাইল উপজেলার বাংড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফজল মিয়ার ছেলে।