সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বর্ষা এলেই ডেঙ্গু আতঙ্ক ফিরে আসে। জমে থাকা পানিতে এডিস মশার বংশবিস্তার বাড়ে, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডেঙ্গুর উপসর্গ অনেক সময় সাধারণ জ্বরের মতোই মনে হতে পারে। তাই সচেতন না হলে ভুল চিকিৎসায় বিপদ বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর হলেই ডেঙ্গুর ওষুধ খাওয়া নয়, বরং সঠিক পরীক্ষা ও সময়মতো চিকিৎসা হওয়া জরুরি।
ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। অনেকে উপসর্গ দেখা দিলেই ওষুধ খেতে শুরু করেন। এটি একেবারেই অনুচিত। আগে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে, নিশ্চিত না হয়ে ওষুধ শুরু করা বিপজ্জনক হতে পারে।
উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকতে পারে-
» তীব্র শরীর ব্যথা
» মাথাব্যথা
» চোখের পেছনে ব্যথা
» হালকা শ্বাসকষ্ট
» শরীরে র্যাশ
» রক্তক্ষরণ বা প্লেটলেট কমে যাওয়া
কী পরীক্ষা করবেন?
প্রথম ধাপে এনএস-১ অ্যান্টিজেন টেস্ট করে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করা যেতে পারে।
তবে এই টেস্টে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরে আইজিএম ও আইজিজি অ্যান্টিবডি টেস্ট করানো উচিত, যা ডেঙ্গু সংক্রমণ নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়
১. বাড়িতে কোথাও পানি জমতে দেবেন না। ছাদ, ফুলের টব, ড্রেন, রান্নাঘর বা বাথরুমের কোণেও যেন পানি জমে না থাকে- সেটি নিশ্চিত করুন।
২. এডিস মশা বেশি কামড়ায় ভোর ও সন্ধ্যায়। ভোর ৪টা থেকে সকাল ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সতর্ক থাকুন। এই সময় পুরো শরীর ঢেকে এমন পোশাক পরুন যাতে মশা কামড়াতে না পারে।
৩. বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন। আবর্জনা, নোংরা পরিবেশ ও পাত্রে জমে থাকা পানি মশার প্রজনন ক্ষেত্র। সেগুলো দূর করতে হবে নিয়মিতভাবে। জানালা, ভেন্টিলেটর বা খোলা অংশে মশানিরোধক জাল ব্যবহার করুন।