ফাইল ফটো
অনলাইন ডেস্ক : সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে জোবাইদা রহমানের করা আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ মে রায় দেবেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন। ২২ মে আপিল শুনানি শুরু হয়েছিল।
জোবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঞা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। এর আগে আপিলের জন্য ১৩ মে তাঁর ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। পরদিন জোবাইদা রহমানকে জামিন দেন এবং তাঁর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে মামলার নথি তলব করেন আদালত। পরে আপিল করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ওই মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে তারেক রহমানের ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজার পাশাপাশি আদালত তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন। এ ছাড়া তারেক রহমানকে তিন কোটি টাকা ও জোবাইদাকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছররে ২২ সেপ্টেম্বর জোবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার। আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য ওই সাজা স্থগিত করা হয়।