জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল’ অনিয়ম আর নাটকিয়তায় শেষ হলো ফাইনাল

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নানা অনিয়ম ও নাটকীয়তায় শেষ হলো ফাইনাল। খেলায় বড়াইগ্রাম উপজেলাকে ১-০ গোলে নাটকিয় জয়লাভ করে নাটোর সদর উপজেলা।

নাটোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট’র ফাইনালে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে নাটোর জেলা স্টেডিয়ামে খেলায় অংশগ্রহণ করে বড়াইগ্রাম ও নাটোর সদর উপজেলা ফুটবল দল। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোল শূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে উত্তেজনাপূর্ন খেলায় ১-০ গোলে এগিয়ে যায় নাটোর সদর, ঠিক তখনই শুরু হয় নাটকীয়তা। সুন্দর একটি গতিময় খেলার পরিবেশ নষ্ট করে সদরের ফরেন কোটার বিদেশি খেলোয়াড়সহ ৪/৫ জন খেলোয়াড় কারন ছাড়াই মাঠে শুয়ে পড়ে এবং খেলার সময় নষ্ট করে। দেখা যায়, অসুস্থতার ভান করে মাঠে গড়াগড়ি দেওয়া খেলোয়াড় কে রেফারি মাঠের বাইরে বের করে দিলে অনুমতি ছাড়া সেই খেলোয়াড় আবার মাঠে প্রবেশ করে, এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম টিম প্রতিবাদ জানালেও মাঠ পরিচালক বা ম্যানেজমেন্ট কোন পদক্ষেপ নেয়নি। শেষ সময়ের অতিরিক্ত সময় ঘোষণা না করে শেষ বাঁশি দেন মাঠ পরিচালক (রেফারি)। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসন , সাংবাদিক , জেলার ক্রীড়া সংস্থার সাবেক খেলোয়াড় সহ দর্শকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দর্শকরা বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে খেলার ফলাফল বয়কট করার দাবি জানান। ক্রীড়া প্রেমী অনেক সাবেক খেলোয়াড় বলেন, নিজেদের মধ্যে বল লেনদেন না করে এভাবে কাল খেপন করে খেলার পরিবেশ নষ্ট করা ফুটবলের নিয়মে আছে কিনা তা বোধগম্য নয়।

এসময় গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আরিফ হোসেন, নাটোরের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, নাটোর সেনা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ লে. কর্নেল মুক্তাদির হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম, দুই উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ , বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ৩৫ হাজার দর্শক।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ফাইনালে বড়াইগ্রাম উপজেলা ফুটবল দল অত্যন্ত চমৎকার খেলেছে, সুন্দর একটি প্রাণবন্ত উত্তেজনা পূর্ণ খেলার শেষ অংশে কি হয়েছে তা গ্যালারিতে বসা ৩৫ হাজার দর্শক দেখেছে। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অজ্ঞাত কারণে কোন মন্তব্য করেননি ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে মহিলা দলের গুরুত্বপুর্ণ অংশগ্রহণ ছিল : আফরোজা আব্বাস

» আমরা জেনারেশনের বাইরে কোনো চিন্তা করি না : এ্যানি

» ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু ২৪ সেপ্টেম্বর

» সাভারে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

» জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল’ অনিয়ম আর নাটকিয়তায় শেষ হলো ফাইনাল

» পলাশে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৪৯  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ

» বাগেরহাটে পেঁপে চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল  ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি     

» এনার্জিপ্যাকের চতুর্থবারের মত সুপারব্র্যান্ড স্বীকৃতি অর্জন

» বাগেরহাটে ফ্রান্স প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: “মাজাই বাজার” উদ্বোধন

» দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে ‘টপ এমপ্লয়ার ২০২৫’ স্বীকৃতি পেল বাংলালিংক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল’ অনিয়ম আর নাটকিয়তায় শেষ হলো ফাইনাল

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নানা অনিয়ম ও নাটকীয়তায় শেষ হলো ফাইনাল। খেলায় বড়াইগ্রাম উপজেলাকে ১-০ গোলে নাটকিয় জয়লাভ করে নাটোর সদর উপজেলা।

নাটোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট’র ফাইনালে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে নাটোর জেলা স্টেডিয়ামে খেলায় অংশগ্রহণ করে বড়াইগ্রাম ও নাটোর সদর উপজেলা ফুটবল দল। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোল শূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে উত্তেজনাপূর্ন খেলায় ১-০ গোলে এগিয়ে যায় নাটোর সদর, ঠিক তখনই শুরু হয় নাটকীয়তা। সুন্দর একটি গতিময় খেলার পরিবেশ নষ্ট করে সদরের ফরেন কোটার বিদেশি খেলোয়াড়সহ ৪/৫ জন খেলোয়াড় কারন ছাড়াই মাঠে শুয়ে পড়ে এবং খেলার সময় নষ্ট করে। দেখা যায়, অসুস্থতার ভান করে মাঠে গড়াগড়ি দেওয়া খেলোয়াড় কে রেফারি মাঠের বাইরে বের করে দিলে অনুমতি ছাড়া সেই খেলোয়াড় আবার মাঠে প্রবেশ করে, এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম টিম প্রতিবাদ জানালেও মাঠ পরিচালক বা ম্যানেজমেন্ট কোন পদক্ষেপ নেয়নি। শেষ সময়ের অতিরিক্ত সময় ঘোষণা না করে শেষ বাঁশি দেন মাঠ পরিচালক (রেফারি)। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসন , সাংবাদিক , জেলার ক্রীড়া সংস্থার সাবেক খেলোয়াড় সহ দর্শকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দর্শকরা বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে খেলার ফলাফল বয়কট করার দাবি জানান। ক্রীড়া প্রেমী অনেক সাবেক খেলোয়াড় বলেন, নিজেদের মধ্যে বল লেনদেন না করে এভাবে কাল খেপন করে খেলার পরিবেশ নষ্ট করা ফুটবলের নিয়মে আছে কিনা তা বোধগম্য নয়।

এসময় গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আরিফ হোসেন, নাটোরের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, নাটোর সেনা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ লে. কর্নেল মুক্তাদির হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম, দুই উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ , বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ৩৫ হাজার দর্শক।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ফাইনালে বড়াইগ্রাম উপজেলা ফুটবল দল অত্যন্ত চমৎকার খেলেছে, সুন্দর একটি প্রাণবন্ত উত্তেজনা পূর্ণ খেলার শেষ অংশে কি হয়েছে তা গ্যালারিতে বসা ৩৫ হাজার দর্শক দেখেছে। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অজ্ঞাত কারণে কোন মন্তব্য করেননি ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com