সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ইসলামি ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের আশা ছিল সরকারের জুলাই ঘোষণাপত্র একটি সমৃদ্ধ ঘোষণাপত্র হবে। কিন্তু কিছুটা আশাহত হয়েছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে পূর্ণভাবে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। বিশেষ করে এ উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। আমাদের এ ভূখণ্ডে লড়াই-সংগ্রাম করেছে সেটাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
আজ দুপুরে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ দফা পরবর্তীতে এক দফায় পরিণত হয়। কিন্তু ঘোষণাপত্রে নয় দফার কথা উল্লেখ করা হয়নি। আন্দোলনের পলিসি মেকিংয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজ মাদরাসা ইংলিশ মিডিয়াম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সাংবাদিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং প্রবাসীদের ভূমিকার কথা বিস্তৃত ঘোষণাপত্রে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করা হয়নি। যার কারণে কিছুটা আশাহত হয়েছি। আমরা দাবি জানিয়েছি সরকার এটা যেন পুনর্বিবেচনা করে।
টিএসসিতে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রদর্শনীতে জামায়াত নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের নেতৃবৃন্দ হিসেবে ছবিগুলো দেওয়া হয়নি। সেখানে ক্যাপশন ছিল বিচারিক হত্যাকাণ্ড। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আদালতে যে অবিচার হয়েছে আমরা মূলত সেখানে তুলে ধরেছি। শুধু বিচারিক হত্যাকাণ্ড না গত ১৫ বছরে হাসিনার যত অপকর্ম ছিল দুঃশাসনের যতগুলো বিষয় আমরা সেখানে প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছি।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে মুখে ফ্যানা তুলে তারাই মব সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ছবিগুলো নামিয়ে দিয়েছে। আমরা সেখানে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি যাতে করে কোনো বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। পরে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের একাডেমিক ডুকুমেন্টস উপস্থাপন করেছি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ মো. ইসমাইলের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতে ইসলামী আমির আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সিফাতুল আলম ও মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি অমিত হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।