জুলাই গণহত্যা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়কার বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের তথ্য তুলে ধরলেন সারজিস

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের দায় স্বীকার করে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানো হয়। এত বড় গণহত্যা আমার দায়িত্বকালীন সংঘটিত হয়। তার দোষ আমি স্বীকার করছি।

 

আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি কীভাবে সংঘঠিত হয়েছিল, সে কথাও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন তিনি। এ মামলার রাজসাক্ষী হয়েছেন সাবেক এই আইজিপি।

 

এ নিয়ে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম হাসিনা সরকারের সময়কার বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের অভিযোগ ও তথ্য তুলে ধরেন।

পোস্টটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

১. আন্দোলন দমনে সরাসরি মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা।

 

২. ফ্যাসিস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশ ছিল যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে।

 

৩. কাউকে তুলে আনা ও হত্যার নির্দেশ আসত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তারিক সিদ্দিকীর মাধ্যমে।

 

৪. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার প্রস্তাব দেয় DGFI!

 

৫. সমন্বয়দের আটক, চাপ দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার এবং সরকারের সাথে আপোস করানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি হারুনকে।

 

Sarjis-Alam-fb-post
৬. ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ৫০ শতাংশ ব্যালট ভর্তি করে রাখার পরামর্শ শেখ হাসিনাকে দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।

 

৭. পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা আওয়ামী দোসরদের হেলিকপ্টারে করে ক্যান্টনমেন্টে অফিসার্স মেসে নেয় সেনাবাহিনী। তারা সেখানে আশ্রিত ছিল।

 

রাজসাক্ষী হিসেবে এসব জবানবন্দী দিয়েছেন শেখ হাসিনার সময়ের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে বিজয়ী হবে ছাত্রদল : রিজভী

» শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটজন গ্রেপ্তার

» নির্বাচনের আগে ২ হাজার এএসআই নিয়োগ, ২ হাজার জনকে পদোন্নতি : আইজিপি

» নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে হাসিনা ও তার দোসররা এখনও সক্রিয়: দুদু

» বিএনপি ও জামায়েত মিলে অন্তর্বর্তী সরকার চালাচ্ছে: সামান্তা শারমিন

» জুলাই গণহত্যা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়কার বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের তথ্য তুলে ধরলেন সারজিস

» সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ ২২ আসামির ভার্চুয়ালি হাজিরা গ্রহণ

» কিশোর-কিশোরীদের জন্য মেটার এআই চ্যাটবট নীতিতে পরিবর্তন

» পর্তুগালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

» শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে আসছে পরিবর্তন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জুলাই গণহত্যা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়কার বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের তথ্য তুলে ধরলেন সারজিস

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের দায় স্বীকার করে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানো হয়। এত বড় গণহত্যা আমার দায়িত্বকালীন সংঘটিত হয়। তার দোষ আমি স্বীকার করছি।

 

আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি কীভাবে সংঘঠিত হয়েছিল, সে কথাও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন তিনি। এ মামলার রাজসাক্ষী হয়েছেন সাবেক এই আইজিপি।

 

এ নিয়ে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম হাসিনা সরকারের সময়কার বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের অভিযোগ ও তথ্য তুলে ধরেন।

পোস্টটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

১. আন্দোলন দমনে সরাসরি মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা।

 

২. ফ্যাসিস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশ ছিল যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে।

 

৩. কাউকে তুলে আনা ও হত্যার নির্দেশ আসত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তারিক সিদ্দিকীর মাধ্যমে।

 

৪. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার প্রস্তাব দেয় DGFI!

 

৫. সমন্বয়দের আটক, চাপ দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার এবং সরকারের সাথে আপোস করানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি হারুনকে।

 

Sarjis-Alam-fb-post
৬. ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ৫০ শতাংশ ব্যালট ভর্তি করে রাখার পরামর্শ শেখ হাসিনাকে দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।

 

৭. পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা আওয়ামী দোসরদের হেলিকপ্টারে করে ক্যান্টনমেন্টে অফিসার্স মেসে নেয় সেনাবাহিনী। তারা সেখানে আশ্রিত ছিল।

 

রাজসাক্ষী হিসেবে এসব জবানবন্দী দিয়েছেন শেখ হাসিনার সময়ের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com