ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সরকার প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসায় কোনো কার্পণ্য করা হয়নি। অর্থ নয়, প্রাধান্য পেয়েছে চিকিৎসা।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আহতদের মধ্যে যাদের চিকিৎসার জন্য দেশে প্রয়োজনীয় সুবিধা ছিল না, তাদের থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের একটি যুদ্ধাহত পুনর্বাসন হাসপাতালে কিছু আহতকে পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের ওই হাসপাতালে মাইন বিস্ফোরণে আহতদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা হয়। যুক্তরাজ্যের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা সেখানেও আহতদের পাঠিয়েছি।
তালিকা তৈরিতে সতর্কতা, চলছে যাচাই-বাছাই
আহত ও নিহতদের তালিকা প্রণয়নে সময় লাগছে বলে স্বীকার করেন উপদেষ্টা। তবে তিনি এটিকে সচেতন সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে বলেন, আমরা চাই না তালিকায় ভুয়া কেউ ঢুকে পড়ুক। যেভাবে এখনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরা পড়ছে, সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান জানান, জেলা কমিটির মাধ্যমে তালিকা তৈরি হচ্ছে। এখনো কিছু আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হাসপাতালে আলাদা কর্নার, হেলথ কার্ড বিতরণ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, আহতদের জন্য সরকারি হাসপাতালে আলাদা কর্নার চালু করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বিশেষ হেলথ কার্ডও।
তিনি বলেন, তারা যেন চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার না হন, সে চেষ্টা করেছি। তবে সেবায় ঘাটতি থাকলেও আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি ছিল না। এখন এই কার্যক্রম মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।