জুম্মনের আইনজীবী সনদ: রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২১ আগস্ট

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতের বিষয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় দেওয়ার জন্য আগামী ২১ আগস্ট রায়ের দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

 

আজ শুনানির দিনে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঠিক করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। জুম্মন সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু।

এর আগে গত রোববার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার পরে আজ আবারো শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ঠিক করেন আদালত।

 

ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাকে বৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সঙ্গে নিয়মিত আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত থাকবে বলেও আদেশ দেয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন। একই সঙ্গে রিটকারী দুই আইনজীবীকে পৃথকভাবে ১০০ টাকা করে জরিমানাও স্থগিত করা হয়েছে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

আদালতে ওইদিন আপিল বিভাগে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার রুহুল কুদুস কাজল, ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অন্যদিকে জুম্মান সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

 

আদেশের পর আইনজীবীরা জানান, বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও এক বিচারকের ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই আইনজীবীর জরিমানাও স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগে।

এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে বার কাউন্সিলের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি গত ৮ নভেম্বর খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

 

রায়ে রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। তাদের প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আপিল করেন রিটকারী দুই আইনজীবী।

 

২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

 

২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।

 

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

 

রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১ (১) (খ) ও ৩০ (৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারিসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

 

এরপর ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তারিক উল হাকিম আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে রিট আবেদনটির ওপর জারি করা রুল শুনানির জন্য বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে ওঠে। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর রিটটি খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। এর পরের দিন ২০২০ সালের ০৯ নভেম্বর জুম্মানের আইনজীবী সনদ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর : আসিফ নজরুল

» দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচারে ঐকমত্য

» নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে: বদিউল আলম

» ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান নজরুলের

» দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচারে ঐকমত্য

» আলুর কেজি ৮০ টাকা, সামান্য কমেছে পেঁয়াজের দাম

» পর্তুগালে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

» মানবপাচারকারীর বাড়িতে বিজিবির অভিযান, আটক ৮

» প্রযুক্তির কারসাজিতে এবার পরিচালনায় ক্যাটরিনা

» মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, ৩ জনের মৃত্যু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জুম্মনের আইনজীবী সনদ: রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২১ আগস্ট

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতের বিষয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় দেওয়ার জন্য আগামী ২১ আগস্ট রায়ের দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

 

আজ শুনানির দিনে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঠিক করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। জুম্মন সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু।

এর আগে গত রোববার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার পরে আজ আবারো শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ঠিক করেন আদালত।

 

ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাকে বৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সঙ্গে নিয়মিত আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত থাকবে বলেও আদেশ দেয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন। একই সঙ্গে রিটকারী দুই আইনজীবীকে পৃথকভাবে ১০০ টাকা করে জরিমানাও স্থগিত করা হয়েছে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

আদালতে ওইদিন আপিল বিভাগে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার রুহুল কুদুস কাজল, ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অন্যদিকে জুম্মান সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

 

আদেশের পর আইনজীবীরা জানান, বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও এক বিচারকের ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই আইনজীবীর জরিমানাও স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগে।

এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে বার কাউন্সিলের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি গত ৮ নভেম্বর খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

 

রায়ে রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। তাদের প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আপিল করেন রিটকারী দুই আইনজীবী।

 

২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

 

২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।

 

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

 

রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১ (১) (খ) ও ৩০ (৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারিসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

 

এরপর ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তারিক উল হাকিম আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে রিট আবেদনটির ওপর জারি করা রুল শুনানির জন্য বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে ওঠে। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর রিটটি খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। এর পরের দিন ২০২০ সালের ০৯ নভেম্বর জুম্মানের আইনজীবী সনদ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com