জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে অর্জিত ২৯৭ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার আগে জি কে শামীমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম এতথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এ রায়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর কমিশনের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আপিল করা হবে কি না।’ জি কে শামীমের আইনজীবী আলহাজ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করবো। মামলায় কিছু ফাঁক-ফোকর রয়ে গেছে। আশা করছি, উচ্চ আদালতে এর বেনিফিট পাবো।’

 

এদিকে জি কে শামীম এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। তবে জি কে শামীমের মা আদালতে হাজির হননি। এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। মামলায় জি কে শামীমের মা পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ কর। জামিন নেন। এরপর জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাকে, আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হলো।

 

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» হোয়াটসঅ্যাপে বাড়ছে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি, সতর্ক থাকার পরামর্শ

» ফেশিয়াল ম্যাসাজের যত উপকারিতা

» কক্সবাজার ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

» গর্ভকালীন ডায়াবেটিস : মা ও নবজাতাকের অসুস্থতা কিভাবে

» প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ফতুল্লায় ঈদ উদযাপন

» স্পেনে উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ উদযাপন

» বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামে আজ ঈদ

» এবারের ঈদ আনন্দে যোগ হয়েছে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার নতুন মাত্রা : তারেক রহমান

» পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী!

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে অর্জিত ২৯৭ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার আগে জি কে শামীমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম এতথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এ রায়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর কমিশনের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আপিল করা হবে কি না।’ জি কে শামীমের আইনজীবী আলহাজ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করবো। মামলায় কিছু ফাঁক-ফোকর রয়ে গেছে। আশা করছি, উচ্চ আদালতে এর বেনিফিট পাবো।’

 

এদিকে জি কে শামীম এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। তবে জি কে শামীমের মা আদালতে হাজির হননি। এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। মামলায় জি কে শামীমের মা পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ কর। জামিন নেন। এরপর জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাকে, আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হলো।

 

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com