সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক :এখন থেকে রাজধানীর থানাগুলোতে কেউ জিডি বা অভিযোগ করলে ২/১ ঘণ্টার মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য তার বাসায় গিয়ে দেখা করবেন এবং প্রয়োজনে তাকে থানায় নিয়ে এসে অভিযোগ শুনে মামলা করানোর ব্যবস্থা করবেন। সেই সঙ্গে মামলা তদন্তে যুক্ত করা হবে একজন তদন্ত কর্মকর্তা।
থানাগুলোতে জিডি হওয়ার পর বিগত সময়ে সাড়া পেতে দীর্ঘ সময় লাগত অভিযোগকারীর। এই বিষয়টিকে কমিয়ে আনতে এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) । এজন্য প্রতি থানায় রেগুলার পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি শুধু এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য বাড়তি পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যাদের ট্রেনিং দিয়ে থানাগুলোতে পাঠানো হবে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
থানাগুলোকে সক্রিয় করার ব্যাপারে এবং জনগণকে আরও ভালো সেবা দেওয়ার জন্য কেমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসিদের বলেছি কোনো ঘটনা যাতে হাইড করা না হয়। যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনায় যেনো মামলা হবে, অবশ্যই জিডি হবে। আরও একটি পদক্ষেপ আমি নিতে যাচ্ছি আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে, আমি এটা কার্যকর করব। সেটা হলো যদিও জিডি হওয়ার ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্তের ঘটনাস্থলে যায়, কিন্তু ওই ঘটনায় যাতে আমার পুলিশ দুই থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যায় সেজন্য আমি বাড়তি লোক নিয়োগ করছি। এসব নতুন লোককে বা অফিসারকে এক সপ্তাহের ট্রেনিং দিয়ে আমি থানায় পাঠাবো। যাতে আপনি জিডি করার এক দুই ঘণ্টা পর আপনার কাছে গিয়ে বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেলে আমার পুলিশ অফিসার বলতে পারে আপনার সঙ্গে কি ঘটনা ঘটেছে? মামলা নেওয়ার মতো যদি কোন ঘটনা হয় তাহলে আপনাকে থানায় নিয়ে আসবেন এবং মামলা নেবে। মামলা নিয়ে মামলার একজন আইও দেওয়া হবে। তিনি মামলার তদন্ত করবেন।
তিনি আরও বলেন, এই কাজটি আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমি শুরু করব ইনশাআল্লাহ। উদ্দেশ্য হলো, আপনি যে থানায় গিয়ে জিডি করলেন এটার রেসপন্স টাইমকে আমি কমিয়ে আনতে চাই। যাতে আপনি এক দুই ঘণ্টার মধ্যে একজন পুলিশ অফিসারের সাক্ষাৎ পান। তার কাছে আপনি আপনার অভিযোগটা বলতে পারেন।
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে এখনও চাঁদাবাজি হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি সকলকে বলব আপনারা চাঁদা দেবেন না। চাঁদাবাজরা কি করে আমরা দেখতে চাই। আমরা সক্রিয় আছি। এ ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। আপনারা দেখবেন যে এই ক্ষেত্রে অনেকটা উন্নতি হয়েছে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ছোট খাটো থ্রেট যদি থাকে সেটার জন্য আমাদের তো উৎসব থামিয়ে দেওয়া যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট ভিন্ন জিনিস, কিন্তু ১৬ই ডিসেম্বর তো আমাদের। আপনি কি এটা বন্ধ করে দিতে চান! নিশ্চয়ই নয়। উদযাপন হবে আমরা সতর্ক অবস্থায় থাকব।
ঢাকায় মিথ্যা মামলার শিকার ব্যক্তিদের বাসায় গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে বিষয়টি কমিশনারের দৃষ্টিতে আনা হলে তিনি আরও বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। এমনটি হলে আজই নির্দেশ দোবো যাতে আর কেউ কোনো এমন হয়রানির শিকার না হয়।