লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি।। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী সেজে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এ সময় রোগীর খাবারসহ নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র ধরা পড়ে।
শনিবার অভিযানে নেতৃত্ব দেন জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক আতিউর রহমান।
অভিযানের আগে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে প্রথমে রোগী সেজে তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পরে অভিযানে হাসপাতালের প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজ বংশী এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিচিত্রা রানীকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত পান।
অভিযানে দেখা গেছে, হাসপাতালে আবাসিক রোগীর জন্য বরাদ্দের মুরগির মাংস ২১০ গ্রামের পরিবর্তে ১১২ গ্রাম দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওষুধ বিতরণে যথাযথ রেজিস্ট্রার এন্ট্রি না করা। ওষুধ ও রোগীর খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারের কার্যক্রমে দুর্নীতি এবং গাফিলতির প্রমাণ পায় কর্মকর্তারা। হাসপাতালে সাতজন ডাক্তার কর্মরত থাকার কথা থাকলেও অভিযানের সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তিনজন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিচিত্রা রানী ছুটিতে না থাকলেও তাঁকে বার বার খোঁজাখুঁজি করেও হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।
জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোগী সেজে প্রথমে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করি। তারপর বিভিন্ন শাখায় গিয়ে আমরা অনিয়ম দেখতে পাই। এসব তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুদকের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল জানান, জামালপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজ বংশীর বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষের কোনো ছুটির আবেদন পাননি।
Facebook Comments Box