লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি।।জামালপুরের মেলান্দহে দ্বিতীয় স্ত্রীর করা হত্যা মামলায় স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক নূরুল হক জঙ্গির মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নাংলা কাঠপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে ৮ মাস ১১ দিন পর তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় দুইটি ইজিবাইক চাপায় গুরুতর আহত হন স্থানীয় ‘দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন’ সম্পাদক ও প্রকাশক নূরুল হক জঙ্গি (৭৫)। স্থানীয়রা তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গি নাংলা ইউনিয়নের কাঠপাড়া এলাকার প্রয়াত আব্দুল হামিদের ছেলে। তার মৃত্যুর পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। প্রবীন এই সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় পারিবারিক কলহ ও রহস্যের সৃষ্টি হলে চলতি বছরের মে মাসের দিকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নূরুল হক জঙ্গির প্রথম স্ত্রী খায়রুন নেছা কাজলী, জামাতা জুলহাস, দুই মেয়ে জেবুননেছা কাকলী ও জিন্নাতুননেছা কনা এবং দৈনিক পল্লীকন্ঠ পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত দেয়া হয় পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কে। আদালতের নির্দেশে আজ সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহ উত্তোলন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পিবিআই পরিদর্শক মোশারফ বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য নূরুল হকের মরদেহ উত্তলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার আগের জায়গায় পাঠানো হবে।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলমগীর জানান, আদালতের নির্দেশে পিবিআই, মেলান্দহ থানা পুলিশ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রয়াত সাংবাদিক নূরুল হকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Facebook Comments Box