সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘৫৩ বছরের সব খুনের বিচার হতে হবে। বিচার না হলে হত্যার সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। লুটপাটের বিচার না হলে লুটপাটের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। ঘুষখোরের বিচার না হলে ঘুষখোরের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। আমরা একটা শোষণমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই।
আজ দিনাজপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, তোমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছ, তোমাদের অবদানের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ এবং শ্রদ্ধা করি তোমরা আমাদের গর্ব, আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘যারা কথায় কথায় আমাদেরকে অন্যদেশে চলে যান বলত, তারাই এখন দেশের বাইরে। দেশ থেকে জুলুমকারী বিদায় হয়েছে, কিন্তু জুলুম বন্ধ হয়নি। তরুণ সমাজকে সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা হত। এখন তারা বুঝতে পেরেছে তাদেরকে ভুল বোঝান হত।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘শুধু জায়ায়াত নয় যারাই দেশ প্রেমিক ছিল তাদের সবার প্রতি নেমে এসেছিল জুলুম। পুরো দেশটাকে তারা কারাগার বানিয়েছিল। তারা বলতো, গণতন্ত্রের দরকার নেই। দেশে উন্নয়ন হলেই চলবে। কিন্তু তারা উন্নয়নের নামে রডের পরিবর্তে বাঁশ এবং সিমেন্টের পরিবর্তে ছাই উপহার দিয়েছে। দেশ থেকে ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
জামায়াত আমির বলেন, ‘তারা বলে, শাপলা চত্তরে কোনো আলেমকে হত্যা করা হয়নি। সেখানে নাকি আলেমরা রং ছিটিয়ে দিয়েছে। কতটা নির্লজ্জ হলে একজন প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলতে পারেন। আমরা আফ্রিকার জঙ্গল থেকে আসিনি। তারা মনে করেছিল, জামায়াতের কর্মীদের গুম খুন করে জেলে পুরে মাটির নিচে পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু আজ তারা কই। তারা দেশের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাঁধা দিয়েছে। তারা নিজেরাও কিছু করেনি। আমাদেরকেও সুযোগ দিতনা।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘তারা বলে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা আর বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। কিন্তু আজ দেখেন, এই সমাবেশে এক পাশে পুরুষ, আরেক পাশে হাজার হাজার নারী। আমরা বলি, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা ও কর্ম করবে। যা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছিল না।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন