সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ ১৩ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী আবারও তাদের কর্মস্থলে ফিরতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ তাদের চাকরিতে পুনর্বহারের নির্দেশ দেন
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জ্যেষ্ঠতার সুযোগ-সুবিধাসহ পুনর্বহাল করতে হবে। অর্থাৎ তাদের চাকরির বয়স, বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা পূর্বের মতোই বিবেচনা করতে হবে।
মামলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাতিল চেয়ে একটি রিট দায়ের করেছিলেন তৎকালীন এমপি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। এই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দীর্ঘ শুনানি হয়। এরপর ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে দেন।
তবে ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক পুনরায় রিভিউ আবেদন করেন। সেই রিভিউয়ের ভিত্তিতে ২০১১ সালে আদালতের আদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারান।
চাকরি হারানোর পর অনেকেই চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন। কেউ কেউ চিকিৎসার অভাবে মারা যান, কেউ পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে কাটান।
চলতি বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা আবারও তাদের কর্মস্থলে ফেরার দাবিতে সোচ্চার হন। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর তারা চাকরি ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে নামেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ তাদের এই দাবি আমলে নেয়। পরে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরি হারানো এই ৯৮৮ জনকে পুনর্বহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই আদালতে পুনর্বহারের আবেদন করা হয় এবং আজ (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম