ছবি সংগৃহীত
অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া বচ্চনকে নিয়ে বলিউডে আলোচনার শেষ নেই। তিনি নাকি বদমেজাজি, মূলত তার জন্য নাকি ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের সম্পর্ক ভালো নয়— কান পাতলে এমন হাজারো মন্তব্য শোনা যায়। তবে জানেন কি, একবার জয়াকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ভারতের সমাজবাদী পার্টির অন্যতম পরিচিত মুখ রাজনীতিবিদ অমর সিং। গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, শাশুড়ি ও শ্বশুরের সঙ্গে নাকি বিন্দুমাত্র বনিবনা হয় না জয়ার।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অমিতাভ ও জয়া। ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের পরেই চলচ্চিত্র থেকে কিছুটা বিরতি নেন জয়া। পরিবার ও সন্তানদের সময় দিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিভিন্ন সময় দাবি করেছে, পরিবারের জন্য সিনেমা থেকে দূরে গেলেও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক ছিল জয়ার। অমিতাভ বচ্চনের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন নামকরা হিন্দি কবি ছিলেন। তার মা তেজি বচ্চন।
‘দৈনিক ভাস্কর’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই রাজনীতিবিদ দাবি করেন, জয়ার কারণেই নাকি আলাদা বাড়িতে আজীবন থেকে গেছেন অমিতাভের বাবা-মা। আগে দিল্লিতে থাকতেন অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন ও মা তেজি বচ্চন। তবে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছেলে অমিতাভের কাছে চলে আসেন তারা। প্রথমে সবাই একসঙ্গেই ছিলেন।
অমর সিং দাবি করেন, জয়া নাকি শ্বশুর-শাশুড়ির এই আচমকাই অনুপ্রবেশ মেনে নিতে পারেননি। বাধ্য হয়েই অমিতাভের বাংলো প্রতীক্ষাতে থাকতে শুরু করেন অমিতাভের বাবা-মা। অমিতাভের আর এক বাংলো ‘জলসা’তে সন্তানদের নিয়ে থাকা শুরু করেন জয়া। অমিতাভ যদিও জলসা নয়, বেছে নেন মা-বাবাকেই। থাকতে শুরু করেন প্রতীক্ষাতে।
নিজের আত্মজীবনীতে জয়ার পরিবারকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন হরিবংশ রাই বচ্চন। জানিয়েছিলেন, ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার পর জয়ার বাবা তরুণ কুমার ভাদুড়ির কাছ থেকে ঠিক কী শুনতে হয়েছিল তাকে।
সেখানে হরিবংশ রাই বচ্চন লিখেছিলেন, বিয়ে মাত্র শেষ হয়েছে। কিছুটা মজার ছলেই তিনি তরুণ কুমারের কাছে গিয়ে বলেন, এত সুন্দর জামাই পাওয়ার জন্য আপনাদের অভিনন্দন। জবাবে নাকি তরুণ কুমার বলেছিলেন, আমাদের পরিবারটাই শেষ হয়ে গেল। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন