সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ওমানের রাজধানী মাস্কটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তখন জয়শঙ্করকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি তাকে (জয়শঙ্কর) আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বলেছি, আমাদের তো পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে, মন্ত্রী পর্যায়েও কিন্তু আমাদের একটা মেকানিজম রয়েছে। আমি তাকে (জয়শঙ্কর) বলেছি, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতবার আপনাদের দেশে গিয়েছেন, এখন আপনার আসার কথা ঢাকায়। আপনি সময় জানালে আমরা ব্যবস্থা করব।
আমন্ত্রণের বিষয়ে জয়শঙ্কর কি বলেছেন জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তিনি ইতিবাচক।
তৌহিদ হোসেন বলেন, শুরুতে তো (অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর) যে টানাপোড়ন ছিল সেটা সবাই জানে। আমরা স্বীকারও করেছিলাম। ব্যবসা মোটামুটি পিকআপ করেছে। দেখা গেছে যে, আগের লেভেলে পৌঁছে গেছে, এগুলো ইন্ডিকেশন। কিছু টানাপড়েন এখনো রয়ে গেছে, যেমন ভিসাসহ কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু দুই পক্ষই মোটামুটি এ ব্যাপারে একমত হয়েছি যে, এগুলো সব দূর করে একটা গুড ওয়ার্কিং রিলেশনে আমাদের পৌঁছাতে হবে।
মাস্কটে তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেয় উভয় পক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা নির্দিষ্ট করে বলিনি উদ্বেগ আছে। আমরা স্বীকার করেছি, কিছু উদ্বেগ রয়ে গেছে; এগুলো আমাদের দূর করতে হবে এবং দুইপক্ষ একমত এগুলো দূর করতে হবে। সম্পর্কটা যাতে উন্নত হয় সেটি দেখতে হবে।
ভারতে অবস্থানরত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ফেরানোর আলোচনায় তিনি বলেন, ওটা নিয়ে নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়নি। আমরা ইন জেনারেল সবগুলো নিয়ে কথা বলেছি।
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে সরিয়ে রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাল্টা প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, সরিয়ে রাখার ব্যাপার না। কোর্ট চেয়েছে তাকে, আমরা অনুরোধ করেছি তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য… করেনি। তার মানে এই নয় যে আমরা বাকি সবকিছু নিয়ে বসে থাকব।