জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় এবার ১০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন হবে। এর মধ্যে জেলার হিমাগারে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন আলু মজুদ করা হয়। এবছর আলুর আবাদ বিগত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় হিমাগারগুলোতে সংরক্ষণের চাপও বাড়ছে। বর্তমান আলুর দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছেন। বর্তমান জেলার বিভিন্ন হিমাগারে ৫০ ভাগ কৃষক আর ৫০ ভাগ ব্যবসায়ী আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে পরে যাতে সিন্ডিকেট না হয় এজন্য আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোরে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ ও ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ জায়গা।প্রতিটি কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বীজের জন্য ১০ বস্তা করে আলু রাখতে পারছেন। কৃষকদের কোটা পূরণ হলে তারপর ব্যবসায়ীদের আলু নেওয়া হবে।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মহন বলেন, প্রতিবছর এই হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করি। এবারও আলু রাখতে আসছিলাম।আমি ১০ বস্তা বীজের আলু রেখেছি।এখানে অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে ভাড়াও কিছুটা কম।
আক্কেলপুরের টিএনটির মোড়ের মোজাম্মেল বলেন, এখানে এবার কৃষকদের জন্য জায়গা বাড়ানো হয়েছে তা অনেক ভাল উদ্যোগ। তবে সংরক্ষণের পরিমানটা আরও একটু বাড়ালে ভাল হতো।
আলু ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন, আলু সংরক্ষণ করার জন্য এসেছিলাম।কিন্তু এসে শুনি কৃষকদের আলু আগে নেওয়া হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের তো কিছুটা সমস্যা হবেই।
হিমাগারের ম্যানেজার সুপন বড়ুয়া বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য চলতি মৌসুমে ৮০% কৃষক ও ২০% ব্যবসায়ীদের বীজ আলু সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া ভাড়ার রেটও অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে কিছুটা কম। এতে করে কৃষকরা অনেকটা উপকৃত হবে বলে মনে করছি।