ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জনগণ ভোট দিয়ে ঠিক করবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, বাংলাদেশের সংসদের কাঠামো কী হবে, বাংলাদেশের ক্ষমতার বিন্যাস কাঠামো কী হবে। আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি সেটাও জনগণের অনুমোদন নেওয়া দরকার। যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট বা পার্থক্য আছে সেটা নিয়েও জনগণের কাছে যাওয়া দরকার।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সাকি বলেন, অনেকের মধ্যে আমরা অনেক কিছু দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু বাস্তব কার্যজ্ঞানের চাইতে আকাশকুসুম কল্পনার জায়গাটি অনেক বেশি। অথবা তারা নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক পক্ষের পক্ষপাত করতে চায়। কোনো রাজনৈতিক পক্ষের রাজনীতি করার কোনো অধিকার সম্পর্কে আমরা কখনোই বিরোধ সৃষ্টি করি না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তার সম্পর্কে কোনো ভ্রান্ত অপরাধের অভিযোগ ওঠে।
তিনি বলেন, এখন কেউ যদি মনে করেন যে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে এই নির্দিষ্ট একটি সংস্কার জরুরি। যেমনটা তারা বলছেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি আনতে হবে। এটা না হলে নির্বাচনে যাব না অথবা নির্বাচন হবে না। তাহলে তো সেটি হয় না।
সংখ্যানুপাতিকের দাবি বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক পক্ষ থেকেই আগে তোলা হয়েছে উল্লেখ করে জোনায়দ সাকি বলেন, এটি আমাদের দিক থেকেই আগে তোলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটি হচ্ছে যখন একটা সমষ্টিগত লড়াই, অবদানের মধ্য দিয়ে একটা অভ্যুত্থান তৈরি হয়েছে, জনতা যে অভ্যুত্থানের প্রধান নায়ক। সেই অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে ভবিষ্যৎটা কী হবে? আমাদের রাষ্ট্রের কাঠামোটা কী হবে? কোন কোন বিষয়ের ওপর আমরা ছাড় পাবো? এটা প্রথম শর্ত হবে যে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু ঐকমত্যে আসছে। যেটুকু ঐকমত্যে আসছে সেটা তো একটা আমাদের বড় অগ্রগতি। সেটাও কিন্তু জনগণের অনুমোদন লাগবে।
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে, আমরা যা চেয়েছি সেটাই মানতে হবে এটা গণতন্ত্রের পথ নয়। এটা আপনি শক্তি প্রয়োগের পথের কথা বলছেন। তাহলে শক্তি প্রয়োগ করুন। শক্তি প্রয়োগ করে যদি আমরা এখানে রাজনীতির ফয়সালা করতে চাই তাহলে আমরা বাংলাদেশকে কোন দিকে ফেলছি? সংঘাতের দিকে, রাজনৈতিক সংকটের দিকে। সেই সংকটের পরিণতি যা ঘটবে তাতে বাংলাদেশটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা মনে রাখা দরকার।