সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছুটে আসবে ৭-৬ লাখের বেশি পর্যটক এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোর ৮০ শতাংশ এবং অন্যান্য হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোর ৫০-৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকেরা চাইলে জেলা প্রশাসনের তৈরি মুঠোফোন অ্যাপ ‘ভ্রমণিকা’ ঘুরে দেখে হোটেল কক্ষ, যানবাহন, গণপরিবহনের টিকিটসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য জানতে পারবেন।
হোটেল কক্স-টুডে’র ম্যানেজার তাসবিহা আলম চৌধুরী জানান, ৯-১১ জুন হোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব শাহ জানান, এবার বুকিং ভালো হওয়ায় বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন প্রত্যাশিত।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, ৫ শতাধিক হোটেলের মধ্যে তারকামানের ও থ্রি-স্টার হোটেলগুলোর ৮০ শতাংশ এবং মিডিয়াম মানের হোটেলগুলোর ৫০-৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস জানান, সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থাকবে মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যও।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি জানান, অতিরিক্ত ভাড়া ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবাসন প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া ও রেস্তোরাঁয় মূল্যতালিকা না টানানোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।