চুরির মামলার খরচ চালাতে ছিনতাই ও মাদক সরবরাহের কাজ করতেন মাদারীপুরের দুই যুবক। তারা হলেন- শিলারচর গ্রামের মামুনুর রশিদ (৩৬) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার মোজাম্মেল হোসেনকে (৪৫)। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
শুক্রবার মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তা ও চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, রাতের সময়টাকেই তারা কাজের জন্য বেছে নিতেন। একজন মাছ বিক্রেতা হিসেবে ফেরি করে মাছ বিক্রি করতেন। তিনিই তথ্য দিতেন। তাদের গ্রুপ অন্তত ৫টা গাড়ি চুরি করেছে। এছাড়া ৫-৭টি মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারিও চুরি করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা চুরি করা গাড়ি দিয়ে ছিনতাই ও মাদক সরবরাহের কাজ করতেন। এসব অপরাধে ধরা পড়ে কয়েকবার জেলও খেটেছেন। ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ করতেন। তাদের বিরুদ্ধে হওয়া একাধিক মামলার খরচ চালাতেন ছিনতাই করা টাকা দিয়ে।
গত ৪ জুন রাজধানীর কেরানীগঞ্জের একটি ভাড়া-বাসা থেকে একটি নিশান প্রাইভেটকার চুরি হয়। এ ঘটনায় গাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে কিশোরগঞ্জ সদর থানার মারিয়া ইপিজেড এলাকা থেকে চুরি হওয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়। আসামিরা বিভিন্ন টাওয়ার থেকে ব্যাটারি ও দোকানের তালা কেটে মালপত্র চুরির কথাও স্বীকার করেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি ছিল।
পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা আছে। সেগুলো নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”