ক্ষুদ্র ঋণ আদায়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না- হাইকোর্টের এমন রায় বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এক আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।
এ দিন আদালতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এছাড়া ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন আব্দুল্লা আল বাকী।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর সারাদেশের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ক্ষুদ্র ঋণ আদায়ে চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আপিলকারী মোহাম্মদ আলীর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। পাশাপাশি ঋণ হিসেবে নেওয়া মোট টাকার ৫০ ভাগ আগামী ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া প্রতিটি ঋণের বিপরীতে ইনস্যুরেন্স করতে আইন প্রণয়নে জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দেওয়াসহ বাংলাদেশ ব্যাংককেও নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি দেশের সব আদালতকে ঋণের বিপরীতে চেক ডিজঅনার মামলা আমলে না নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওইদিন বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সেদিন আদালতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল বাকী। আর তাকে সহযোগিতা করেন ওয়াহিদা আফরোজ চৌধুরী, আইনজীবী কায়েদে আজম ইকবাল, অ্যাডভোকেট শাহীনুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামান।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী আব্দুল্লা আল বাকী বলেন, এই রায়ের ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের বিপরীতে চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না। তবে অর্থঋণ আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা করতে পারবেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাক ব্যাংকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর শাখা থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। তবে ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় তাকে ৬ মাসের সাজা ছাড়াও ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০৫ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর এই রায়ের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টে আপিল করেন।