এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট :বাগেরহাটের চিতলমারীতে জোয়ারের পানি ও অতিবৃষ্টির কবল থেকে সহস্রাধিক চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের বাঁচাতে পাটরপাড়া-পাঁচপাড়া ভারানির খালের দুই স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে বালুর বস্তা ও মাটি দিয়ে এ বাঁধ দেন। এই একটি খালে বাঁধের ফলে ৫ টি খাল দিয়ে পাটরপাড়া, সাবোখালী, দানোখালী, চৌদ্দহাজারী, সুড়িগাতি, রায়গ্রাম, খিলিগাতী, শ্রীরামপুর, কালশিরা ও বারাশিয়া বিলের এক হাজারের বেশী চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সাবোখালী গ্রামের মৎস্য চাষী স্বপন অধিকারী ও পল্লী চিকিৎসক সাধন অধিকারী বলেন, ‘গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে অনেক মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। এই ভারানির খালে এই মুহুর্তে বাঁধ দেওয়ায় আমাদের বিলের এক হাজারের বেশী চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের বাঁচবে। এ বাঁধে আমাদের বিশাল উপকার হয়েছে।’
চিতলমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস জানান, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। তাই এলাকার মানুষ ও মৎস্য চাষিদের সাথে নিয়ে অন্তত এই বিলের এক হাজার ঘের বাঁচাতে পাটরপাড়া-পাঁচপাড়া ভারানির খালের দুই স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জনস্বার্থে এ ধরণের কাজ প্রশংসার দাবীদার। অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ মাছের ঘের ও পুকুরের তালিকা করতে আমাদের লোক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।