চার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মামুন হাসান কারাগারে

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :চারটি ভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদালত তার আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

 

মামুন হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। একইদিন মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের আরেক মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।

 

এছাড়া একই বছরের ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।এর আগে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।

 

তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব এবং আশা করছি দ্রুতই তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। মামুন হাসানের বিরুদ্ধে ২৮৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার এই আদালতের না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

 

এদিকে মামুন হাসানের সঙ্গে আদালতে মিছিল নিয়ে আসেন শতাধিক নেতাকর্মী। তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মামুন হাসান তাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। তবুও আদালত এলাকায় স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

 

কারাগারে যাওয়ার আগে আদালতের ফটকে দাঁড়িয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মামুন হাসান বলেন, আমি বারবার বলছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় আত্মসমর্পণ করেছি। পুলিশকে তার নিজেদের কাজ করতে দেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যায় রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।

 

সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদালত তার আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

 

মামুন হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। একইদিন মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের আরেক মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।

এছাড়া একই বছরের ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।এর আগে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।

 

তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব এবং আশা করছি দ্রুতই তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন।

 

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। মামুন হাসানের বিরুদ্ধে ২৮৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার এই আদালতের না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

 

এদিকে মামুন হাসানের সঙ্গে আদালতে মিছিল নিয়ে আসেন শতাধিক নেতাকর্মী। তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মামুন হাসান তাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। তবুও আদালত এলাকায় স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

 

কারাগারে যাওয়ার আগে আদালতের ফটকে দাঁড়িয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মামুন হাসান বলেন, আমি বারবার বলছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় আত্মসমর্পণ করেছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পুনঃনির্ধারণ

» নির্বাচনী রোডম্যাপে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে : সালাহউদ্দিন

» প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে সময় দরকার: ফাওজুল কবির

» স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

» দেশের সমস্যা সমাধানে নির্বাচন ছাড়া কোনো উপায় নেই, যারা বাধা দেবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

» পিআর পদ্ধতি যারা বোঝে না তাদের রাষ্ট্র চালানোর জ্ঞান নেই: তাহের

» জমকালো আয়োজনে রিয়েলমির ‘৮২৮ ফ্যান ফেস্টিভাল’ উদযাপন

» বিটিআই থেকে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে পাওয়া যাবে ব্র্যাক ব্যাংকের এক্সক্লুসিভ হোম লোন সুবিধা

» মোবাইল হ্যাকিংয়ের শিকার মোল্লাহাটের ইউএনওসহ সরকারি কর্মকর্তারা, জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান

» খুন গুম হামলা মামলার ভয়ে নেতা-কর্মীদের ছেড়ে যাইনি ’ শহীদ উদদীন চৌধুরী এ্যানী 

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মামুন হাসান কারাগারে

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :চারটি ভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদালত তার আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

 

মামুন হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। একইদিন মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের আরেক মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।

 

এছাড়া একই বছরের ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।এর আগে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।

 

তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব এবং আশা করছি দ্রুতই তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। মামুন হাসানের বিরুদ্ধে ২৮৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার এই আদালতের না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

 

এদিকে মামুন হাসানের সঙ্গে আদালতে মিছিল নিয়ে আসেন শতাধিক নেতাকর্মী। তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মামুন হাসান তাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। তবুও আদালত এলাকায় স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

 

কারাগারে যাওয়ার আগে আদালতের ফটকে দাঁড়িয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মামুন হাসান বলেন, আমি বারবার বলছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় আত্মসমর্পণ করেছি। পুলিশকে তার নিজেদের কাজ করতে দেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যায় রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।

 

সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদালত তার আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

 

মামুন হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। একইদিন মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের আরেক মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।

এছাড়া একই বছরের ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।এর আগে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।

 

তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব এবং আশা করছি দ্রুতই তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন।

 

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। মামুন হাসানের বিরুদ্ধে ২৮৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার এই আদালতের না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

 

এদিকে মামুন হাসানের সঙ্গে আদালতে মিছিল নিয়ে আসেন শতাধিক নেতাকর্মী। তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মামুন হাসান তাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। তবুও আদালত এলাকায় স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

 

কারাগারে যাওয়ার আগে আদালতের ফটকে দাঁড়িয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মামুন হাসান বলেন, আমি বারবার বলছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় আত্মসমর্পণ করেছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com