চাঞ্চল্যকর পরিবহন ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ আরও তিনজন গ্রেফতার

সাভারের হেমায়েতপুরে চাঞ্চল্যকর পরিবহন ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল ইসলাম ফয়সালসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

 

শাহাবুদ্দিন হত্যার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান এবং দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে তার আগেই গতকাল মঙ্গলবার  রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল ইসলাম ফয়সাল (২৮), তার বাবা মো. কিয়ামুদ্দিন (৬০) ও তাদের সহযোগী মো. রিপন (২৫)।

 

আজ (১ মার্চ) দুপুরে সাভার মডেল থানায় এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস্ এ্যান্ড ট্রাফিক, উত্তর) মোহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী পিপিএম-(বার) এ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস্ এন্ড ট্রাফিক- উত্তর) মোহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ফয়সাল সম্পর্কে নিহত শাহাবুদ্দিনের সৎ ভাগিনা। তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ পারিবারিক বিরোধ ও মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছিলো। এরই ধারাহাবিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার রাকিবুল ইসলাম ফয়সালসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা নিহত সাহাবুদ্দিনকে হত্যার উদ্যেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাভারের হেমায়েতপুর পিকআপ ষ্ট্যান্ড এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। পরে শাহাবুদ্দিন সেখানে গেলে অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায় তারা। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরো দুইজনকেও আহত করে হামলাকারীরা। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর সাহাবুদ্দিনের মৃত্যু হয়।

 

ঘটনার পর থেকেই আসামিরা সাভার ছেড়ে পালিয়ে যান। এসময় তারা ঢাকা, গাজীপুর, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারে পালিয়ে যান। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজীব কুমার সাহা বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে তাদের গ্রেফতার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

 

এর আগে ঘটনার দিন রাতে ১৮ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় প্রধান আসামি ফয়সালের শ্বশুর আবদুল মান্নানকে (৫০) হেমায়েতপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সাহাবুদ্দিন হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম ফয়সাল (২৮), মো. কিয়াম উদ্দিন (৬০), মো. শহিদুল্লাহ (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), মো. রিপন (২৫), মো. আবদুল মান্নান (৫০)।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার

» গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করে শেষ মুহূর্তে ‘শাটডাউন’ এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

» বাসে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি পাইপ গানসহ দুই যাত্রী গ্রেপ্তার

» সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাসান আরিফের জানাজা সম্পন্ন

» উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’

» ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ কনসার্ট ঘিরে যান চলাচলে নির্দেশনা

» সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু

» বেইলি ব্রিজ ভেঙে তুরাগ ন‌দে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

» সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

» ক‍্যানবেরায় ১২ প্রবাসীকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অ‍্যাওয়ার্ড প্রদান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চাঞ্চল্যকর পরিবহন ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ আরও তিনজন গ্রেফতার

সাভারের হেমায়েতপুরে চাঞ্চল্যকর পরিবহন ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল ইসলাম ফয়সালসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

 

শাহাবুদ্দিন হত্যার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান এবং দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে তার আগেই গতকাল মঙ্গলবার  রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল ইসলাম ফয়সাল (২৮), তার বাবা মো. কিয়ামুদ্দিন (৬০) ও তাদের সহযোগী মো. রিপন (২৫)।

 

আজ (১ মার্চ) দুপুরে সাভার মডেল থানায় এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস্ এ্যান্ড ট্রাফিক, উত্তর) মোহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী পিপিএম-(বার) এ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস্ এন্ড ট্রাফিক- উত্তর) মোহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ফয়সাল সম্পর্কে নিহত শাহাবুদ্দিনের সৎ ভাগিনা। তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ পারিবারিক বিরোধ ও মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছিলো। এরই ধারাহাবিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার রাকিবুল ইসলাম ফয়সালসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা নিহত সাহাবুদ্দিনকে হত্যার উদ্যেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাভারের হেমায়েতপুর পিকআপ ষ্ট্যান্ড এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। পরে শাহাবুদ্দিন সেখানে গেলে অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায় তারা। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরো দুইজনকেও আহত করে হামলাকারীরা। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর সাহাবুদ্দিনের মৃত্যু হয়।

 

ঘটনার পর থেকেই আসামিরা সাভার ছেড়ে পালিয়ে যান। এসময় তারা ঢাকা, গাজীপুর, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারে পালিয়ে যান। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজীব কুমার সাহা বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে তাদের গ্রেফতার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

 

এর আগে ঘটনার দিন রাতে ১৮ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় প্রধান আসামি ফয়সালের শ্বশুর আবদুল মান্নানকে (৫০) হেমায়েতপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সাহাবুদ্দিন হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম ফয়সাল (২৮), মো. কিয়াম উদ্দিন (৬০), মো. শহিদুল্লাহ (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), মো. রিপন (২৫), মো. আবদুল মান্নান (৫০)।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com