চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: মন্ত্রী

ছবি সংগৃহীত

 

সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশের চিঠির আর কার্যকারিতা নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সুপারিশপত্রটি নিয়ে একপক্ষ জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে।

 

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ ক্ষেত্রে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনর কাছে চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী।

 

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে সরকারের কোন সিদ্ধান্ত নেই। সুপারিশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।

চাকরিপ্রার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। শনিবার তারা সমাবেশের পর শাহবাগ এলাকা অবরোধও করেন।

 

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে আপনার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কিছু চাকরিপ্রার্থী অনুরোধ করেছিল, আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাকালীন মনে হয়েছে সেটার বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। সেই হিসেবে আমি একটি সুপারিশপত্র দিয়েছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।’

 

তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন যে, রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তটা কী। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করার বিষয়ে যে এখন সিদ্ধান্ত নেই সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার সেই সুপারিশপত্রটি পুঁজি করে এক পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’

‘সুতরাং আমি তাদেরকে বলব, এটা অত্যন্ত একটা খারাপ কাজ তারা করছেন। রাষ্ট্র উত্তর দিয়েছেন, এখানেই বিষয়টি সমাপ্তি ঘটেছে। সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা আর নেই। এখন এটাকে নিয়ে জলঘোলা করে বিভিন্ন জায়গায় দাড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য নয়।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি মাত্র ১ শতাংশ চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। সেখানে ৩৫ করলে আর কতই বা বাড়বে সেটা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয়ও আমাকে ব্যাখ্যা করেছেন। সেটা নিয়ে আর জলঘোলা করা উচিত হবে না বলে আমি মনে করি।’  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সিলেটে বাংলাদেশের বিপর্যয়, লিড নিয়ে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে

» সুন্দরবনের ১০ কি.মি. ইসিএ এলাকার মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত

» বার্লিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

» হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

» পোপ ফ্রান্সিস আর নেই

» পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

» লন্ডনে বিয়ের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের পলাতক মন্ত্রী-এমপিরা

» ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের ১৪৭টিতে একমত খেলাফত মজলিস

» ব্যারিস্টার রাজ্জাক লাইফ সাপোর্টে, দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির

» পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে রদবদল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: মন্ত্রী

ছবি সংগৃহীত

 

সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশের চিঠির আর কার্যকারিতা নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সুপারিশপত্রটি নিয়ে একপক্ষ জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে।

 

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ ক্ষেত্রে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনর কাছে চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী।

 

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে সরকারের কোন সিদ্ধান্ত নেই। সুপারিশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।

চাকরিপ্রার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। শনিবার তারা সমাবেশের পর শাহবাগ এলাকা অবরোধও করেন।

 

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে আপনার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কিছু চাকরিপ্রার্থী অনুরোধ করেছিল, আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাকালীন মনে হয়েছে সেটার বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। সেই হিসেবে আমি একটি সুপারিশপত্র দিয়েছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।’

 

তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন যে, রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তটা কী। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করার বিষয়ে যে এখন সিদ্ধান্ত নেই সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার সেই সুপারিশপত্রটি পুঁজি করে এক পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’

‘সুতরাং আমি তাদেরকে বলব, এটা অত্যন্ত একটা খারাপ কাজ তারা করছেন। রাষ্ট্র উত্তর দিয়েছেন, এখানেই বিষয়টি সমাপ্তি ঘটেছে। সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা আর নেই। এখন এটাকে নিয়ে জলঘোলা করে বিভিন্ন জায়গায় দাড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য নয়।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি মাত্র ১ শতাংশ চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। সেখানে ৩৫ করলে আর কতই বা বাড়বে সেটা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয়ও আমাকে ব্যাখ্যা করেছেন। সেটা নিয়ে আর জলঘোলা করা উচিত হবে না বলে আমি মনে করি।’  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com