চাঁদপুরের ৩ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উদযাপিত

চাঁদপুরের জেলায় বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪২টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। শনিবার  সকাল সাড়ে ৮টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইমামতি করেন দরবারের পীর জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি।

 

অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

 

জানা যায়, আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বমুফতি আল্লামা মাওলানা ইছহাক চৌধুরী। প্রায় ৯৪ বছর আগে এ প্রথা চালু হলেও এখনো ৪০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মুসলমান এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

 

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য সঠিক নিয়ম।

 

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সাহেব মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী বলেন, শনিবার সৌদি আরবে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদগাঁ মাঠের মুসল্লি ৭০ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামসহ অনেক মুসল্লি বলেন, আমাদের জন্মের পর থেকে সাদ্রা দরবার শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করে যাচ্ছি। আমাদের পূর্বপুরুষরাও নামাজ পড়েছেন।

 

মতলব উত্তরের দেওয়ানকান্দি গ্রামের বোরহান উদ্দিন ডালিম বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী হিসেবে এভাবে সঠিক সময়ে ঈদ উদযাপন করে আসছি।

 

যেসব জায়গায় ঈদ উদযাপিত হয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল গ্রামে দুটি জামাত, অলিপুর গ্রামে একটি জামাত, সাদ্রা গ্রামে তিনটি জামাত ও শমেশপুর গ্রামে একটি জামাতসহ মোট ৯টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুরঙ্গচাউল, কাইতাড়া, উভারামপুর, টোরামুন্সিরহাট, সাচনমেঘ, মাছিমপুর, বাসারা, উটতলী, শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা দক্ষিণের একাংশ, গোয়ালভাওর।

 

মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গার আংশিক, আমিয়াপুর গ্রামের একাংশ, মধ্য ইসলামবাদ গ্রামের একাংশ, গাজীপুর গ্রামের একাংশ, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি) গ্রামের একাংশ, ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর, সরকারপাড়া ও ঠাকুরপাড়া।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধানমন্ডিতে ‘সুরভি’ পরিদর্শনে ডা. জুবাইদা রহমান

» নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারকে সহযোগিতা করে যাওয়া কঠিন হবে: বিএনপি

» নগর ভবনের সামনে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ

» শীর্ষ সন্ত্রাসী এক্সেল বাবুসহ গ্রেফতার ৪

» বিশেষ অভিযানে মোট ১৫৫৮ জন গ্রেফতার

» চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে ঈদ ৬ জুন

» প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ অস্ত্র বহন করবে : আইজিপি

» প্রজাতন্ত্রের কর্মীরা দেশের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন: প্রেসসচিব

» ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের হেলথ ইনস্যুরেন্স বেনিফিট বাড়ালো ব্র্যাক ব্যাংক

» জামালপুরে বাস টার্মিনাল আধুনিকায়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ, প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চাঁদপুরের ৩ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উদযাপিত

চাঁদপুরের জেলায় বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪২টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। শনিবার  সকাল সাড়ে ৮টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইমামতি করেন দরবারের পীর জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি।

 

অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

 

জানা যায়, আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বমুফতি আল্লামা মাওলানা ইছহাক চৌধুরী। প্রায় ৯৪ বছর আগে এ প্রথা চালু হলেও এখনো ৪০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মুসলমান এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

 

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য সঠিক নিয়ম।

 

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সাহেব মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী বলেন, শনিবার সৌদি আরবে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদগাঁ মাঠের মুসল্লি ৭০ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামসহ অনেক মুসল্লি বলেন, আমাদের জন্মের পর থেকে সাদ্রা দরবার শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করে যাচ্ছি। আমাদের পূর্বপুরুষরাও নামাজ পড়েছেন।

 

মতলব উত্তরের দেওয়ানকান্দি গ্রামের বোরহান উদ্দিন ডালিম বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী হিসেবে এভাবে সঠিক সময়ে ঈদ উদযাপন করে আসছি।

 

যেসব জায়গায় ঈদ উদযাপিত হয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল গ্রামে দুটি জামাত, অলিপুর গ্রামে একটি জামাত, সাদ্রা গ্রামে তিনটি জামাত ও শমেশপুর গ্রামে একটি জামাতসহ মোট ৯টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুরঙ্গচাউল, কাইতাড়া, উভারামপুর, টোরামুন্সিরহাট, সাচনমেঘ, মাছিমপুর, বাসারা, উটতলী, শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা দক্ষিণের একাংশ, গোয়ালভাওর।

 

মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গার আংশিক, আমিয়াপুর গ্রামের একাংশ, মধ্য ইসলামবাদ গ্রামের একাংশ, গাজীপুর গ্রামের একাংশ, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি) গ্রামের একাংশ, ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর, সরকারপাড়া ও ঠাকুরপাড়া।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com