চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল থেকে স্নাতকে ভর্তির জন্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান না শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে কয়েক দফা মানববন্ধনও করেছেন তাঁরা। তবে ডিনস কমিটির সভায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষা না নেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ডিনস কমিটির ওই সভা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যাঁরা ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও ২০২১ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরাই কেবল এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। পাশাপাশি মানোন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ডিনস কমিটির সভা শুরু হয়। চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এস এম আকবর হোছাইন।
সভা শেষে এস এম আকবর হোছাইন প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার নিয়মকানুনে বড় পরিবর্তন আসবে না। গতবারের নিয়মে এবারও পরীক্ষা হবে। তবে পরীক্ষা পদ্ধতি, আবেদনের যোগ্যতা, পূর্ণাঙ্গ সূচি সম্পর্কে পরের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন।
এর আগে ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভায় স্নাতক ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য সূচি নির্ধারণ করা হয়। সূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ আগস্ট পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ আগস্ট।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোহাম্মদ নাসিম হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসন সংখ্যা ও ইউনিট গত বছরের মতো থাকবে। এবারের পরীক্ষাও বহুনির্বাচনী প্রশ্নে হবে। আবেদনের যোগ্যতা কী হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত পরের সভায় হবে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। আসন রয়েছে ৪ হাজার ৯২৬টি। এর মধ্যে এ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১২টি, বি ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, সি ইউনিটে ৪৪১টি, ডি ইউনিটে ১ হাজার ১৬০টি। উপ-ইউনিটের মধ্যে বি১ ইউনিটে ১২৫টি ও ডি১ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে। বাকি ৭০৭টি কোটায়। সূএ: আমাদের সময় ডটকম