মানিকগঞ্জে ঘুস-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সহযোগীদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করায় আইনজীবী মাহাবুবুল ইসলামকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আইনজীবীর বিষয়ে নালিশ করে বার সমিতিকে মানিকগঞ্জের জেলা জজের চিঠি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
পাশাপাশি রিটে মানিকগঞ্জের আদালতে ঘুস-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
গত ১০ অক্টোবর অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী বিচার বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেন। সেখানে তারা দাবি করেন, এফিডেভিট করতে নির্দিষ্ট ফির অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এক হাজার টাকার কমে কোনো নকল সরবরাহ করা হচ্ছে না। রেকর্ড রুম থেকে নথি পেতে হলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। আদালতের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিচারপ্রার্থীদের মামলার খরচ অনেক বেড়ে যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জামিলুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এ এফ এম নূরতাজ আলম বাহারের স্বাক্ষরে মাহাবুবুল ইসলামকে ১৫ কার্যদিবসের জন্য আইনপেশা থেকে বিরত থাকা এবং কারণ দর্শানোরে নোটিশ দেওয়া হয়। মাহাবুবুল ইসলাম ও তার সঙ্গীদের এমন কর্মকাণ্ডে বার ও বেঞ্চের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মাহাবুবুল ইসলামকে ১৫ দিনের জন্য পেশা থেকে বিরত থাকতে আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম