সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পর আইনশৃঙ্খাল বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। বুধবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিকেল চারটার দিকে থেমে থেমে চলছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এ দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এরআগে পুলিশ ও ইউএনওর গাড়ি এবং সমাবেশ মঞ্চে হামলার পর এনসিপি গাড়ি বহরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ হামলা চালানো হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
জানা যায়, এনসিপির নেতারা সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে আগে থেকেই গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এসব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে এদিন দুপুর ২টায় সমাবেশ মঞ্চে উঠেন এনসিপি নেতারা। সমাবেশ শেষ করে যাওয়া পথে ফের গাড়ি বহরে হামলা চালায় তারা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীা জানান, সমাবেশস্থলে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে সমাবেশস্থলে হামলা চালায় কয়েকজন যুবক। এ সময় সমাবেশস্থলের পাশে থাকা বেশ কিছু চেয়ার ছুঁড়ে ফেলে তারা। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি চেয়ার।
এর আগে পদযাত্রা উপলক্ষে দায়িত্বরত পুলিশের গাড়িতে হামলার পর আগুন দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
তার আগে গোপালগঞ্জ সদরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও কয়েকজন আহত হন।
ওই সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান।