গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খানারপাড় গ্রামের মুদি দোকানি গাউজ দাঁড়িয়া (৪৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ও ধারের টাকা চাওয়ায় ওই দোকানিতে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নিহাদ আদনান তাইয়ান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার খানারপাড় গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার ছেলে ইস্রাফিল মোল্লা (২২), একই গ্রামের হাসান উদ্দিন দাঁড়িয়ার ছেলে আজিজুর ওরফে কুটি দাঁড়িয়া (৫০) ও কামাল দাঁড়িয়ার ছেলে বজলু দাড়িয়া ওরফে রাজিব (২৩)। শনিবার দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার খানারপাড় গ্রাম থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, ইস্রাফিল, আজিজুর ও বজলু বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার গাউজ দাঁড়িয়ার দোকান থেকে বাকিতে কেনাকাটা ও টাকা ধার নিতেন। এই বাকি টাকা চাইলে গাউজ দাঁড়িয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে গাউজ দাঁড়িয়াকে ঘুম থেকে উঠিয়ে প্রথমে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে নিস্তেজ হয়ে পড়লে কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে মরদেহ ফেলে দেয় তাকে। পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহাদ আদনান তাইয়ান আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর ইস্রাফিল বাড়িতে চলে যায় ও পরের দিন আত্মগোপন করে। অন্য দুইজনকে যাতে কেউ সন্দেহ না করে সেজন্য তারা মরদেহ দাফনে সহযোগিতা করে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।