ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শিউলী বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূেক গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফরিদ উদ্দীনের (৪৫) বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ীর বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ফরিদের বাড়ির পাশে কলাবাগান থেকে শিউলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিউলী বেগম ওই এলাকার ফরিদ উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনী এলাকার শরীফ মিয়া ড্রাইভারের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রথম স্ত্রী ও দুটি সন্তান থাকার পরও প্রায় ১২ বছর আগে শিউলী ও ফরিদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি ৮ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলীকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেন।
নিহত শিউলীর বাবা শরীফ মিয়া ড্রাইভার ও স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলীকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়েছে ঘাতক ফরিদ। তারা ফরিদকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দীন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।