গাবতলী বেড়িবাঁধে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধে ইট, বালু ও পাথরের আড়ৎ ঘরসহ আশপাশের অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে অন্তত অর্ধশতাধিক আড়ৎ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় ইট, পাথর ও বালুর আড়ৎ ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিতে সাতদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

 

আজ সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

 

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তিগুলো দখলমুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব। সিটি কর্পোরেশনের এসব জায়গা দখলমুক্ত করে মাঠ ও পার্ক করা হবে। খালি জায়গা, মাঠ, পার্ক সেগুলো জনগণের সম্পত্তি। ঢাকা শহরের মানুষ এসব মাঠে ও পার্কে যাবে, খালি জায়গায় ঘুরাফেরা করবে এটা জনগণের অধিকার। বর্তমানে ঢাকা শহরে খালি জায়গার অনেক অভাব। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের অনেকগুলো জায়গা রয়েছে যেগুলো থেকে রাজস্ব আহরণ করা হয়। এই বেড়িবাঁধের (গাবতলি বেড়িবাঁধ) রাস্তার দুই পাশে ডিএনসিসির সবচেয়ে বড় প্রায় দেড়শো একর জায়গা আছে। এর বেশির ভাগ জায়গা দীর্ঘ সময় ধরে দখল করে রাখা হয়েছে। এগুলো আমরা উচ্ছেদ করবো। আজকে থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে, অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে (গাবতলী বেড়িবাঁধ) অবৈধভাবে দখল করে নানা কর্মকাণ্ড করছে। ইটের, পাথরের আড়ৎসহ নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড করছে অবৈধভাবে। তারা সিটি কর্পোরেশন থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়নি, একটি পয়সাও এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব পাচ্ছে না। এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে কোনো নোটিশের প্রয়োজন নেই। তারা আমাদের না জানিয়ে দখল করেছে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এই জায়গা উদ্ধার করা হবে।

 

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে সাতদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে অথবা তারা বৈধ উপায়ে সিটি কর্পোরেশনকে ভাড়া প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করবে। কোনো প্রকার অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ দখলদারিত্ব আর চলবে না।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

» সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর

» ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

» পাইলস প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ

» সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার

» খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

» ইয়াবাসহ এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

» মুরগি-সবজির দাম বেড়েছে

» জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ব্যবসায়ী কুপিয়ে হত্যা

» গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৩ সন্তানসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গাবতলী বেড়িবাঁধে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধে ইট, বালু ও পাথরের আড়ৎ ঘরসহ আশপাশের অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে অন্তত অর্ধশতাধিক আড়ৎ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় ইট, পাথর ও বালুর আড়ৎ ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিতে সাতদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

 

আজ সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

 

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তিগুলো দখলমুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব। সিটি কর্পোরেশনের এসব জায়গা দখলমুক্ত করে মাঠ ও পার্ক করা হবে। খালি জায়গা, মাঠ, পার্ক সেগুলো জনগণের সম্পত্তি। ঢাকা শহরের মানুষ এসব মাঠে ও পার্কে যাবে, খালি জায়গায় ঘুরাফেরা করবে এটা জনগণের অধিকার। বর্তমানে ঢাকা শহরে খালি জায়গার অনেক অভাব। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের অনেকগুলো জায়গা রয়েছে যেগুলো থেকে রাজস্ব আহরণ করা হয়। এই বেড়িবাঁধের (গাবতলি বেড়িবাঁধ) রাস্তার দুই পাশে ডিএনসিসির সবচেয়ে বড় প্রায় দেড়শো একর জায়গা আছে। এর বেশির ভাগ জায়গা দীর্ঘ সময় ধরে দখল করে রাখা হয়েছে। এগুলো আমরা উচ্ছেদ করবো। আজকে থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে, অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে (গাবতলী বেড়িবাঁধ) অবৈধভাবে দখল করে নানা কর্মকাণ্ড করছে। ইটের, পাথরের আড়ৎসহ নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড করছে অবৈধভাবে। তারা সিটি কর্পোরেশন থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়নি, একটি পয়সাও এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব পাচ্ছে না। এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে কোনো নোটিশের প্রয়োজন নেই। তারা আমাদের না জানিয়ে দখল করেছে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এই জায়গা উদ্ধার করা হবে।

 

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে সাতদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে অথবা তারা বৈধ উপায়ে সিটি কর্পোরেশনকে ভাড়া প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করবে। কোনো প্রকার অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ দখলদারিত্ব আর চলবে না।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com