ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। তারা বলেছে, দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা।
পরিষদের উপদেষ্টা ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশ ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশ। এখানে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তারে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। অথচ এখন গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কোনো উদ্যোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। আজ সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমরা চাই, প্রতিটি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক। যদি না হয়, তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’
জাতীয় সংস্কৃতি পরিষদের মুফতি সেলিম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলেও ধর্মীয় শিক্ষক নেই। অথচ দেখা যাচ্ছে, এখন অনেক পরিবার বিদ্যালয়ের বদলে মাদ্রাসায় সন্তানদের পাঠাচ্ছে। যদি সংগীতশিক্ষা দেওয়া হয়ই, তাহলে আমরা গজল শেখানোর জন্য শিক্ষক পাঠাতে প্রস্তুত।’
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ধর্মীয় শিক্ষকের পদে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা তারা মেনে নেবেন না। এর মধ্য দিয়ে ভারত ও আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যা কখনোই সফল হবে না।
সমাবেশ শেষে মিছিল বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে শুরু হয়ে পার্শ্ববর্তী সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ‘কুরআনের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো’সহ নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।