সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শেষে দক্ষিণ ইসরায়েলের সডে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে এক ইসরায়েলি সেনা নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, নিহত ওই সেনা গোলানি ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। তিনি গাজা থেকে ফিরে ঘাঁটিতে বিশ্রামে ছিলেন এবং সেখানে সামরিক পুলিশের জেরার মুখে পড়েন। মাসখানেক আগে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু হয় এবং তার অস্ত্র জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তবে হারেৎজ জানায়, তিনি একটি ঘুমন্ত বন্ধুর অস্ত্র ব্যবহার করে নিজেকে গুলি করেন। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তদন্তের বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়’ বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত মাসে গাজায় এক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ওই সেনার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আত্মহত্যার হার সেনাবাহিনীতে বেড়েই চলেছে।
চলতি সপ্তাহের রবিবার এক রিজার্ভ সেনা গাজার যুদ্ধজনিত মানসিক সমস্যার কারণে ইসরায়েলের উত্তরের সাফেদ শহরের কাছে একটি বনাঞ্চলে আত্মহত্যা করেন।
ইসরায়েল হায়োম পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ২১ জন ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
এছাড়া, মে মাসে হারেৎজ জানিয়েছিল, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট ৪২ জন ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫৭,৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত নভেম্বরেই গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়া, গাজায় পরিচালিত যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলাও চলছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি