ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট :অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার ও বুধবার ভয়াবহ বিমান হামলার পর বৃহস্পতিবার থেকে ওই উপত্যকায় আবারও স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইহুদিবাদী সেনারা।
তেল আবিব বলেছে, ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি ‘শেষ সতর্কবার্তা’, যাতে তারা জিম্মিদের ফেরত দেয় এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজায় ভারী বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বুধবারও ইসরায়েলি হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এরপর বৃহস্পতিবার রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষা করেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর ফলে ফিলিস্তিনিরা আবারও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রিয়জনের মরদেহ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইসরায়েল যেসব এলাকাকে ‘যুদ্ধ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর গাজা থেকে পালানো অনেক পরিবারকে শিশুসহ রাস্তায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
‘শেষ সতর্কবার্তা’
গাজার বাসিন্দাদের উদ্দেশে এক ভিডিওবার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, এটি শেষ সতর্কবার্তা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরামর্শ গ্রহণ করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে দেন এবং হামাসকে সরিয়ে দেন। তাহলে আপনাদের জন্য অন্যান্য বিকল্প উন্মুক্ত হবে– যার মধ্যে অন্য দেশে চলে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজার জনগণের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, তবে তা কেবল তখনই সম্ভব, যদি তারা জিম্মিদের মুক্তি দেয়। যদি না দেয়, তবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে!
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। কয়েক দফায় মুক্তি দেওয়ার পর আর মাত্র ৫৮ জন জিম্মি রয়েছেন গাজায়, যাদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সূত্র: আল-জাজিরা, স্কাই নিউজ, এএফপি