ছবি সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে ছয় ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলি-আমেরিকান তরুণ হার্শ গোল্ডবার্গ-পলিন, যিনি হামাসের হাতে বন্দি হওয়ার পর বেশ পরিচিত পান। হার্শের বাবা-মা তাকে উদ্ধারের জন্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
রবিবার আইডিএফ জানিয়েছে, এই ছয়জনকে উদ্ধারের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু উদ্ধারের ঠিক আগেই তাদের হত্যা করা হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলের তরুণ হার্শ গ্রেনেডের আঘাতে তার বাম হাত হারান। গত এপ্রিলে হামাসের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, হার্শের বাম হাত নেই। এই ভিডিওর পর ইসরায়েলে নতুন করে প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়। সরকারকে হার্শসহ অন্যদের মুক্তির ব্যাপারে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
আইডিএফ অন্যান্য বন্দিদের নামও প্রকাশ করেছে। তারা হলেন— ওরি ড্যানিনো (২৫), এডেন ইয়েরুশালমি (২৪), আলমগ সারুসি (২৭) এবং আলেক্সান্ডার লোবানোভ (৩৩)। এই চারজন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে আটক হয়েছিলেন। ষষ্ঠজন হলেন- ৪০ বছর বয়সী কারমেল গ্যাট।
ছয় বন্দির মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কারণ, অনেক বন্দির পরিবার এবং ইসরায়েলি জনগণ তাদের জীবিত ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকেই দায়ী করছে। তাদের দাবি, এমন একটি চুক্তি হোক যাতে হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং ১০ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে।
আইডিএফ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যে জায়গা থেকে ৫২ বছর বয়সী কাইদ ফারহান আলকাদিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল সে জায়গার প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রাফাহ শহরের একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মরদেহগুলো।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, আমরা সেখানে পৌঁছানোর ঠিক আগেই তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
হার্শ গোল্ডবার্গ-পলিনের বাবা-মা সম্ভবত বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সবচেয়ে উচ্চকিত ছিলেন। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পোপ ফ্রান্সিস এবং কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সব বন্দির মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে ভাষণও দিয়েছিলেন তারা। সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল