ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক :নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলায় গাঁজা সেবনকালে কথা কাটাকাটির জেরে সজীব দেবনাথ (২৮) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তার দুই বন্ধু।
নিহত সজীব দেবনাথ বরগুনা জেলার সদর থানার শুশু কাঠপট্টি সড়কের আশুতোষ দেবনাথের ছেলে ও পাগলা বাজারে একটি কাঁচামালের আড়তের কর্মচারী।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লা থানা সীমান্তের পাগলা তালতলা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই ফতুল্লা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুকান্ত দত্ত স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রবি (১৭) ও সাজ্জাদকে (১৮) গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো ফতুল্লা থানার পাগলা নয়ামাটি এলাকার বিজয় মণ্ডলের ছেলে রবি। সাজ্জাদ একই থানার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বারেক দেওয়ানের ভাড়াটিয়া মিঠুর ছেলে সজিব।
ড্রেজার শ্রমিকরা জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সজিব, রবি ও সাজ্জাদ নামে তিন যুবক তৌহিদ ট্রেডার্সের ঘাট দিয়ে নদীতে ভাসমান পাঁচতারা আনলোড নামে ড্রেজারে উঠে। গাঁজা সেবন অবস্থায় তিনজন তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসময় রবি ও সাজ্জাদ মিলে সজিবকে গাঁজা কাটার ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। তখন সজিব চিৎকার করলে ড্রেজার শ্রমিকরা ঘুম থেকে উঠে আসলে তারা দৌড়ে তীরে উঠে আবারও ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সজিব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রবি ও সাজ্জাদ পালিয়ে যায়। তখন থানায় খবর দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে ধাওয়া করে রবি ও সাজ্জাদকে আটক করে।
নিহতের বাবা আশুতোষ দেবনাথ জানায়, তিনি মিরপুরে একটি কোম্পানির নিরাপত্তারক্ষী। নিহত সজিব ঢাকা মিরপুরস্থ একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এক বছর আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। প্রায় এক মাস আগে নতুন চাকরি পাগলা বাজার কাঁচামালের আড়তে যোগদানের কথা বলে ফতুল্লার পাগলায় চলে আসে। রাত ৪টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ মোবাইল ফোনে তাকে তার ছেলের মৃত্যু সংবাদ জানায়। নিহত সজিব দেবনাথ বিবাহিত বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, মাদক সেবনের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে মারামারি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সজীব দেবনাথ। পরে স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।