উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে চালু হলো বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব উড়ন্ত নৌকা পরিষেবা। দেখলে মনে হবে পানিতে ভেসে নয়, পানির ওপর দিয়েই উড়ে চলছে নৌকাটি।
আসলে নৌকটির তলায় বিশেষ হাইড্রোফয়েল ডানা রয়েছে যা ব্লেডের মতো নৌকার নিচে সংযুক্ত।
রানওয়েতে যেভাবে একটি বিমান টেক অফ করে, পানিতের নিচে থাকা ডানাগুলো নৌকাটিকে সেই ভাবেই তুলে ধরে। যত গতি বাড়বে, দেখে মনে হবে নৌকটি পানিতের উপরে উড়ছে।
এই নৌকার ওজন ১০ টন এবং এর সর্বোচ্চ গতি ৬৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। নৌকাটি ১২জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। তবে এর থেকে কম যাত্রীবহণকারী নৌকাও বাজারে আনবে নির্মাতা সংস্থাটি।
পরিবেশ-বান্ধব এই নৌকাটি বিশেষ ধরনের প্রযুক্তিতে তৈরি যা পেশাদার ইয়ট রেসিং প্রতিযোগিতার নৌকার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। পানিতে নিচের ডানাগুলো একে কার্যত নিঃশব্দে সমুদ্রের উপর তুলে ধরে এবং সমুদ্রের বুকে মসৃণভাবে চলতে সাহায্য করে।
এই হাইড্রোফয়েল নৌকা মূলত জাহাজের নাবিকদের পরিবহণের জন্য বা ওয়ার্ক বোট হিসেবে ব্যবহার করা হবে। নির্মাতা সংস্থার দাবি, ব্যাটারিচালিত নৌকাটিতে বেশি ক্ষণ চার্জ দিতে হয় না। মাত্র এক ঘণ্টায় রিচার্জ করা যায়।
সংস্থাটির আরো দাবি, জীবাশ্ব জ্বালানি চালিত নৌকার তুলনায় ৯০ শতাংশ বেশি শক্তি সাশ্রয় করে এই ব্যাটারিচালিত নৌকা। সরকারও এই ধরনের নৌকা পরিষেবাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, বাতাসে কার্বন নিঃসরণ কমাতে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
কার্যত নিঃশব্দে সমুদ্রের বুকে ভেসে চলা এই নৌকার পরিচালন খরচও অনেক কম। এর সাহায্যে খুব কম সময়ে গন্তব্যেও পৌঁছানো সম্ভব হবে।
প্রাথমিকভাবে ১২ যাত্রীর নৌকা হলেও আগামিদিনে ৬০কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিসম্পন্ন ছয় যাত্রী নৌকাও আনবে নিমার্ণকারী সংস্থাটি।শুরুতে জাহাজের নাবিক এবং বন্দরের প্রয়োজনে একে ব্যবহার করা হলেও আগামিদিনে সাধারণ যাত্রীরা এই নৌকায় চড়তে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে ৬০ জন কর্মী নিয়ে শুরু হচ্ছে এই ‘উড়ন্ত নৌকা’ পরিষেবা। ভবিষ্যতে পরিষেবা বাড়লে কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ