গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতান্ত্রিক ধারা না থাকালে দেশের উন্নয়ন হতো না বলে জানান তিনি।

 

আজ (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১১টি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ছিল বলেই উন্নয়নগুলো সম্ভব হয়েছে। এই ধারা না থাকলে এত উন্নত হতো না। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা পরমাণু শক্তিতে যুক্ত হতে পেরেছি। এই পরমাণু দিয়ে আমরা বোমা বানাবো না, বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো।

 

করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে আমরা তারপরও আমাদের অর্থনীতির গতিধারা অব্যাহত রেখেছি। প্রবৃদ্ধি সাত ভাগ অর্জন করতে পেরেছি।

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সাল হবে মন্দার বছর, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। আমাদের দেশে যেন এর ধাক্কা না লাগে সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে সে ব্যাপারে দেশবাসীর প্রতি আবারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বিদ্যু-গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

 

সরকার শুধু আর্তসামাজিক উন্নয়ন নয়, প্রাকৃতিক পরিবেশেরও উন্নয়ন করছে বলে জানান তিনি। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা ১২৩ ভাগ বাড়ানোর হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের বসবাসের জায়গাও আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, শুধু ঢাকাকে কেন্দ্র করে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে না। তৃণমূল পর্যায়েও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বলে জানান তিনি।

 

স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন জাতির পিতা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সীমিত সম্পদ নিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অপরদিকে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি প্রথম ৯ ভাগের ওপর অর্জিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৫ সালে। কিন্তু পঁচাত্তরের পরে সেই অগ্রগতি সম্পূর্ণ থেমে যায়।

 

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়নটা হতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোচালকসহ দুজন নিহত

» আবারও রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণের দাম

» পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

» টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

» ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

» কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

» গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১১২৬ জন আসামি গ্রেফতার

» ফখরুল-আব্বাসসহ ৬৭ জনকে অব্যাহতি দিলো আদালত

» জামায়াতের আন্দোলন সরকারবিরোধী না : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতান্ত্রিক ধারা না থাকালে দেশের উন্নয়ন হতো না বলে জানান তিনি।

 

আজ (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১১টি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ছিল বলেই উন্নয়নগুলো সম্ভব হয়েছে। এই ধারা না থাকলে এত উন্নত হতো না। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা পরমাণু শক্তিতে যুক্ত হতে পেরেছি। এই পরমাণু দিয়ে আমরা বোমা বানাবো না, বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো।

 

করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে আমরা তারপরও আমাদের অর্থনীতির গতিধারা অব্যাহত রেখেছি। প্রবৃদ্ধি সাত ভাগ অর্জন করতে পেরেছি।

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সাল হবে মন্দার বছর, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। আমাদের দেশে যেন এর ধাক্কা না লাগে সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে সে ব্যাপারে দেশবাসীর প্রতি আবারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বিদ্যু-গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

 

সরকার শুধু আর্তসামাজিক উন্নয়ন নয়, প্রাকৃতিক পরিবেশেরও উন্নয়ন করছে বলে জানান তিনি। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা ১২৩ ভাগ বাড়ানোর হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের বসবাসের জায়গাও আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, শুধু ঢাকাকে কেন্দ্র করে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে না। তৃণমূল পর্যায়েও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বলে জানান তিনি।

 

স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন জাতির পিতা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সীমিত সম্পদ নিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অপরদিকে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি প্রথম ৯ ভাগের ওপর অর্জিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৫ সালে। কিন্তু পঁচাত্তরের পরে সেই অগ্রগতি সম্পূর্ণ থেমে যায়।

 

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়নটা হতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com