খুলনায় র্যাব পরিচয়ে দিবালকে ট্রলার থেকে ২০৮ বস্তা গম ডাকাতি ঘটনার মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি জিপ গাড়ি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাহিনীটির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব-৬-এর পরিচালক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন- গাজী সালাউদ্দিন সুমন, মো. রবিউল ইসলাম (২১), মো. হারুন-অর-রশিদ (৩৭), খায়রুজ্জামান খান ওরফে তুহিন (৪০) ও মুরাদ শেখ (৪০)।
মোসতাক আহমদ জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি দাকোপের চালনা পৌরসভার চন্দন সাহা একটি ভাড়াকৃত ট্রলারযোগে কাবিখা’র ক্রয়কৃত ২০৮ বস্তা লাল গম খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার বরফকল লঞ্চঘাটে প্রেরণ করেন। এ সময় ১৫-১৬ জন লোক নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই গমের কাগজপত্র দেখতে চায়। তারা ট্রলার মাঝি মধু সাহাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মারধর করে ট্রলারের কেবিনে বসিয়ে রাখে। এরপর ভুয়া র্যাব সদস্যরা ট্রলার থেকে ২০৮ বস্তা গম একটি বড় ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং মাঝিকে একটি কালো রঙয়ের জিপ গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে নগরীর রয়েল হোটেলের মোড়ে ছেড়ে দেয়। এ সময় তার মোবাইল ও নগদ ১০ হাজার টাকাও কেড়ে নেয় ডাকাতরা।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার রাতে নতুন বাজার লঞ্চঘাট বরফকল এলাকা থেকে গাজী সালাউদ্দিন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খালিশপুরস্থ উজ্জল ফুডস ইন্ডাষ্ট্রিজ’র ভেতর থেকে রবিউল ও হারুনকে গ্রেপ্তার এবং লুটকৃত গম উদ্ধার করা হয়।
পরে ওই দুই জনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বুধবার ভোর রাতে খায়রুজ্জামান খান ওরফে তুহিন ও মো. মুরাদ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোসতাক আহমদ জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।