ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের নামে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আরও ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন এমরান হোসেন চৌধুরী, জহুরুল হক, শফিকুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, হামিদুর রহমান ও তাহেরুল ইসলাম। এ নিয়ে মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পক্ষে এদিন আইনজীবী হাজিরা দেন।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। একই বছরের ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর থেকে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম তার জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর ১৭ অক্টোবর তাকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর ওই বছরের ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক।
অপরদিকে, আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান।
এরপর গত ৭ জানুয়ারি তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।