অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপির আমলে শুধু খাম্বা বসিয়ে- হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। এমন কি বিদ্যুতের দাবি জানানো গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ আজ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। প্রত্যন্ত গ্রামের হারিকেনটিও এখন চলে গেছে জাদুঘরে।
রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন।
স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
২০০৫ সালের রমজান মাস। কার্তিকের কাঠফাটা গরমে প্রাণন্তকর অবস্থা সাধারণ মানুষের। ঢাকা শহরজুড়ে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। আর সারা দেশে তো বিদ্যুৎই থাকে না। এমনকি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও বিদ্যুৎ না থাকায়- অবশেষে ক্ষুব্ধ হয় আপামর জনতা। অথচ সেসময় শুধু খাম্বা বসিয়ে- হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। ফলে বিএনপি আমলজুড়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় দেশ।
১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করেছিল, তারেক রহমানের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বিএনপি আমলে তা কমে হয় মাত্র ৩ হাজার ২শ মেগাওয়াট।
[১] কংগ্রেসের পরাজয় পাক-ভারত-বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র কি আরো বিতর্কের জন্ম দেবে? ≣ অ্যালার্জির সমস্যায় সুস্থ থাকতে খেতে পারেন একটি সবজি ≣ [১] ২০ আগস্ট পবিত্র আশুরা
বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের এই আমলে, খোদ ঢাকাতেও দিনের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়মিত স্কুলের ক্লাস নিতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকরা। বিদ্যুৎ না থাকায় পানি উত্তোলনও ব্যাহত হয়েছে শহরে, ফলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে রাজধানীর সাধারণ জনগণ।
এসময় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকায়- চাষাবাদের জন্য ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন- কৃষকরা। সেই সুযোগে ডিজেল ও সারের দামও বাড়িয়ে দেয় ‘হাওয়া ভবন’ সিন্ডেকেট। তবে তারেক-মামুন গংদের লুটপাটের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ।
শুধু বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে হত্যা করা হয় ২০ জন সরলপ্রাণ গ্রামবাসীকে। সেপ্টেম্বরে দেশের ৪০টি জেলার সাধারণ মানুষের ওপর একযোগে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের পেটোয়া বাহিনী। এভাবেই হত্যা ও খুনের রাজত্ব কায়েম করে- দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবিয়ে- কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তারেক রহমান ও তার বন্ধুরা।
অথচ আজ কেমন আছে গ্রামের মানুষ? ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। প্রত্যন্ত গ্রামের হারিকেনটিও এখন চলে গেছে জাদুঘরে।