কৌশলে রক্ষা

সুলেখা আক্তার শান্তা :
নদীর পাড়। শীতল বাতাস। সেখানে একটি বিশাল জাম গাছ। বেশুমার জাম ধরে সেই গাছে। টসটসে রসালো জামে ভরে যায় গাছ। সেই গাছে এক বানরের বসতি। বানরের তো গাছে ওঠা কোন ব্যাপার না। মুহূর্তে এই ডাল থেকে সেই ডালে। গাছের ডালে বসে ইচ্ছামতো জাম খায়। ভর পেট জাম খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। অনেক বাচ্চা পোলাপান গাছের নিচ থেকে জাম কুড়িয়ে খায়। বানর তা দেখে খুব আনন্দ পায়। সে উপর থেকে কিছু কিছু জাম নিচে ফেলে। বাচ্চারা কে কার আগে জাম তুলে নেবে তা নিয়ে হুড়োহুড়ি। বাচ্চাদের হুটপাট দেখে বানর আনন্দে হাততালি দিয়ে নাচে। সে এক মহা উৎসব লেগে যায়। পাখিরা কিচির-মিচির করে যোগ দেয় তাতে। পাশের নদীতে বাস করে এক কুমির। সব সময় কুমিরের খাই খাই লেগেই থাকে। গাছের নিচটা একটু নিরিবিলি হলে কুমির এসে হাজির হয় সেখানে। মলিন মুখে তাকিয়ে থাকে জাম গাছের দিকে। বানর খেয়ে খেয়ে যে জামগুলো নিচে ফেলে কুমির সেগুলো কুড়িয়ে খায়। বানরের মনে মায়া হয়, সে বেশি করে দু’চারটা আস্তো জাম নিচে ফেলে। কিছু জাম কুমিরের পিঠে পড়ে। সে বিরক্ত হয়ে লেজ নাড়ে কিন্তু কিছু বলে না। কিছু বললে যদি বানর জাম ফেলা বন্ধ করে দেয় এই ভয়ে। কুমিরের পক্ষে তো আর গাছে ওঠা সম্ভব না।
কুমির বুদ্ধি করে সে বানরের সাথে দোস্তি পাতাবে। তাহলে সে অনেক জাম খেতে পারবে। বাচ্চাদের জন্যও নিয়ে যেতে পারবে কিছু। কুমির মোলায়েম করে বানরকে বলে, দোস্ত তুমি কেমন আছো? বানর অবাক হয়! দোস্ত আবার কে? কুমির বলে, দোস্ত উত্তর দাও না কেন? বানর বড় বড় চোখ করে তাকায়! কুমির বলে বানরকে, তোমকেই দোস্ত বলছি। বানর অবাকের উপর অবাক হয়, আমাকে তুমি দোস্ত বলে ডাকছো?
হ্যাঁ দোস্ত। আমি এলেই তুমি আমাকে জাম পেড়ে দাও। আমি ভাবলাম দোস্ত ছাড়া এমন কাজ কেউ করে? বানর খুশি হয়ে বলে, ঠিক আছে আমি তোমার দোস্ত হলাম। আজ থেকে তুমি আমার প্রাণপ্রিয় দোস্ত। বানর অনেক জাম পেরে থলি ভরে কুমিরকে দেয়। কুমির ভর পেট জাম খায় আর খুশি মনে থলি ভর্তি জাম পিঠে করে বাড়ি নিয়ে যায়।
একদিন কুমির বানরকে বলে, দোস্ত আমার স্ত্রী তোমাকে দেখতে চাইছে। বানর বিষন্ন মনে বলে, দোস্ত তোমার বসতি পানিতে আর আমার বসতি গাছে। আমি কী করে দেখা করব! আমি তো সাঁতার জানিনা। কুমির বলে, দোস্ত এটা তুমি বলো কী! আমি থাকতে তোমার কিসের চিন্তা? তুমি আমার পিঠে চড়ে বসবে ব্যাস। আমি তোমাকে নিয়ে যাব। বানর ভাবলো দোস্ত যখন এত করে বলছে ঠিক আছে দোস্ত সঙ্গে যাই।
কুমিরের পিঠে চড়ে বানর রওনা দেয় কুমিরের বাড়ি। নদীতে যেতেই ঘাবড়ে যায় বানর। দেখে বিশাল নদী। নদীতে তার কিছু হলে সে কেমন করে কী করবে! বানর বলে, দোস্ত আমার ভয় করছে। কুমির আশ্বস্ত করে, দোস্ত ভয় পাচ্ছো কেন আমি থাকতে তোমার কিসের ভয়? তুমি আমাকে শক্ত করে ধরে বসো। বানর তাই করে। শেষে নিরাপদে কুমিরের বাড়ি পৌঁছায়। দেখা হয় কুমিরের বউ বাচ্চার সঙ্গে। সবাই অপেক্ষা করছিল নতুন মেহমানকে দেখার জন্য। কুমির পরিবার বানরের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সবার মনে যেন আনন্দের জোয়ার বইছে। সেই আনন্দের মাঝে কুমির বানরকে তার আসল কথা বলে। দোস্ত আমরা তোমার কলিজা খেতে চাই। অনেক প্রাণীর কলিজা খাওয়া হয়েছে কিন্তু বানরের কলিজা খাওয়া হয়নি। এই সাধটা আজ আমরা পূরণ করতে চাই। এমন ভয়ংকর কথা শুনে বানরের চোখ ছানাবড়া। জীবন নিয়ে টানাটানি এমন বিপদে আগে পড়েনি সে। এখন কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। হঠাৎ বুদ্ধি খাটিয়ে বলে, দোস্ত এটা তুমি কী বলছো? কলিজা আমি রেখে এসেছি জাম গাছে বেঁধে। এখন তোমাকে কী করে কলিজা দেই! এই কথা আগে বলতে দোস্ত, চলো তোমাকে কলিজা খাওয়াবো তারপর অন্য কথা। কুমির চালাক হলেও বানরের চালাকির কাছে বোকা বনে যায়। বানর কুমিরের বউ বাচ্চার কাছ থেকে বিদায় নেয়। তাড়াতাড়ি কুমিরের পিঠে চড়ে বসে বলে, চলো দোস্ত এবার যাওয়া যাক। কুমির বানরকে নিয়ে জাম গাছের কাছে আসে। বানর বলে, দোস্ত তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি আসছি। বানর তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ডেকে নিয়ে আসে। বলে, কুমিরকে শায়েস্তা করতে হবে ও আমার কলিজা খেতে চায়। এ কথা শুনে পুরো বানরকূল লাঠি নিয়ে কুমিরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ইচ্ছামত কুমিরকে ধোলাই দিতে থাকে। কুমির মারের চোটে দিশেহারা হয়ে বলে, আমাকে মারছো কেন? বানর বলে, বুঝতে পারছ না তোমাকে মারছি কেন? আমার কলিজা খেতে চাও! কলিজা আমার সঙ্গে কলিজা খেলে আমি মরে যেতাম। ভাগ্যিস বুদ্ধি খাটিয়ে চলে এসেছি তাই জানটা বেঁচে গেছে। কলিজা তো আমার বুকের ভেতর, কলিজা খেলে প্রাণে বাঁচা যায়? কুমির ভাবে হায় হায় আমি একি বোকামি করেছি! দোস্ত আমি ভুল করছি এবার আমাকে মাফ করে দাও। আমি আর কখনো এমন কথা বলবো না। তোমার বলা না বলায় কিছু আসে যায় না। আমার দোস্তি কাটাকাটি তোমার সঙ্গে। তোমাকে জানে মেরে ফেললাম না, যাও এবার বাড়ি যাও। তোমার বউ বাচ্চার জন্য তোমাকে ছেড়ে দিলাম। কুমির মাইর খেয়ে কাহিল হয়ে পড়েছে। সে আস্তে আস্তে পানিতে নেমে ভাবে, আগে জান নিয়ে বাঁচি। বানর বলে, তোমার সঙ্গে দোস্তি পাতানো উচিত না। কোন সম্পর্ক বা কোনো কাজ করার আগে ভেবেচিন্তে করা উচিত।
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইন্ডিয়া যারাই আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে,তাদের প্রতিহত করা হবে: হান্নান মাসুদ

» আপাতত দেশে ফিরছেন না তারেক রহমান

» নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হতাশ মিমি

» অস্ত্রসহ সাবেক চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গী গ্রেফতার

» আ.লীগ পুনর্বাসন প্রসঙ্গে যা বললেন আসিফ মাহমুদ

» জেলের জালে ধরা পড়ল ১৩ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ, বিক্রি ৩৪ হাজার

» ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত

» ‘অ্যান্টিক কয়েন’ ব্যবসার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৪

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় সতর্ক যৌথবাহিনী, প্রস্তুত জলকামান-এপিসি

» আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : রিজভী

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কৌশলে রক্ষা

সুলেখা আক্তার শান্তা :
নদীর পাড়। শীতল বাতাস। সেখানে একটি বিশাল জাম গাছ। বেশুমার জাম ধরে সেই গাছে। টসটসে রসালো জামে ভরে যায় গাছ। সেই গাছে এক বানরের বসতি। বানরের তো গাছে ওঠা কোন ব্যাপার না। মুহূর্তে এই ডাল থেকে সেই ডালে। গাছের ডালে বসে ইচ্ছামতো জাম খায়। ভর পেট জাম খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। অনেক বাচ্চা পোলাপান গাছের নিচ থেকে জাম কুড়িয়ে খায়। বানর তা দেখে খুব আনন্দ পায়। সে উপর থেকে কিছু কিছু জাম নিচে ফেলে। বাচ্চারা কে কার আগে জাম তুলে নেবে তা নিয়ে হুড়োহুড়ি। বাচ্চাদের হুটপাট দেখে বানর আনন্দে হাততালি দিয়ে নাচে। সে এক মহা উৎসব লেগে যায়। পাখিরা কিচির-মিচির করে যোগ দেয় তাতে। পাশের নদীতে বাস করে এক কুমির। সব সময় কুমিরের খাই খাই লেগেই থাকে। গাছের নিচটা একটু নিরিবিলি হলে কুমির এসে হাজির হয় সেখানে। মলিন মুখে তাকিয়ে থাকে জাম গাছের দিকে। বানর খেয়ে খেয়ে যে জামগুলো নিচে ফেলে কুমির সেগুলো কুড়িয়ে খায়। বানরের মনে মায়া হয়, সে বেশি করে দু’চারটা আস্তো জাম নিচে ফেলে। কিছু জাম কুমিরের পিঠে পড়ে। সে বিরক্ত হয়ে লেজ নাড়ে কিন্তু কিছু বলে না। কিছু বললে যদি বানর জাম ফেলা বন্ধ করে দেয় এই ভয়ে। কুমিরের পক্ষে তো আর গাছে ওঠা সম্ভব না।
কুমির বুদ্ধি করে সে বানরের সাথে দোস্তি পাতাবে। তাহলে সে অনেক জাম খেতে পারবে। বাচ্চাদের জন্যও নিয়ে যেতে পারবে কিছু। কুমির মোলায়েম করে বানরকে বলে, দোস্ত তুমি কেমন আছো? বানর অবাক হয়! দোস্ত আবার কে? কুমির বলে, দোস্ত উত্তর দাও না কেন? বানর বড় বড় চোখ করে তাকায়! কুমির বলে বানরকে, তোমকেই দোস্ত বলছি। বানর অবাকের উপর অবাক হয়, আমাকে তুমি দোস্ত বলে ডাকছো?
হ্যাঁ দোস্ত। আমি এলেই তুমি আমাকে জাম পেড়ে দাও। আমি ভাবলাম দোস্ত ছাড়া এমন কাজ কেউ করে? বানর খুশি হয়ে বলে, ঠিক আছে আমি তোমার দোস্ত হলাম। আজ থেকে তুমি আমার প্রাণপ্রিয় দোস্ত। বানর অনেক জাম পেরে থলি ভরে কুমিরকে দেয়। কুমির ভর পেট জাম খায় আর খুশি মনে থলি ভর্তি জাম পিঠে করে বাড়ি নিয়ে যায়।
একদিন কুমির বানরকে বলে, দোস্ত আমার স্ত্রী তোমাকে দেখতে চাইছে। বানর বিষন্ন মনে বলে, দোস্ত তোমার বসতি পানিতে আর আমার বসতি গাছে। আমি কী করে দেখা করব! আমি তো সাঁতার জানিনা। কুমির বলে, দোস্ত এটা তুমি বলো কী! আমি থাকতে তোমার কিসের চিন্তা? তুমি আমার পিঠে চড়ে বসবে ব্যাস। আমি তোমাকে নিয়ে যাব। বানর ভাবলো দোস্ত যখন এত করে বলছে ঠিক আছে দোস্ত সঙ্গে যাই।
কুমিরের পিঠে চড়ে বানর রওনা দেয় কুমিরের বাড়ি। নদীতে যেতেই ঘাবড়ে যায় বানর। দেখে বিশাল নদী। নদীতে তার কিছু হলে সে কেমন করে কী করবে! বানর বলে, দোস্ত আমার ভয় করছে। কুমির আশ্বস্ত করে, দোস্ত ভয় পাচ্ছো কেন আমি থাকতে তোমার কিসের ভয়? তুমি আমাকে শক্ত করে ধরে বসো। বানর তাই করে। শেষে নিরাপদে কুমিরের বাড়ি পৌঁছায়। দেখা হয় কুমিরের বউ বাচ্চার সঙ্গে। সবাই অপেক্ষা করছিল নতুন মেহমানকে দেখার জন্য। কুমির পরিবার বানরের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সবার মনে যেন আনন্দের জোয়ার বইছে। সেই আনন্দের মাঝে কুমির বানরকে তার আসল কথা বলে। দোস্ত আমরা তোমার কলিজা খেতে চাই। অনেক প্রাণীর কলিজা খাওয়া হয়েছে কিন্তু বানরের কলিজা খাওয়া হয়নি। এই সাধটা আজ আমরা পূরণ করতে চাই। এমন ভয়ংকর কথা শুনে বানরের চোখ ছানাবড়া। জীবন নিয়ে টানাটানি এমন বিপদে আগে পড়েনি সে। এখন কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। হঠাৎ বুদ্ধি খাটিয়ে বলে, দোস্ত এটা তুমি কী বলছো? কলিজা আমি রেখে এসেছি জাম গাছে বেঁধে। এখন তোমাকে কী করে কলিজা দেই! এই কথা আগে বলতে দোস্ত, চলো তোমাকে কলিজা খাওয়াবো তারপর অন্য কথা। কুমির চালাক হলেও বানরের চালাকির কাছে বোকা বনে যায়। বানর কুমিরের বউ বাচ্চার কাছ থেকে বিদায় নেয়। তাড়াতাড়ি কুমিরের পিঠে চড়ে বসে বলে, চলো দোস্ত এবার যাওয়া যাক। কুমির বানরকে নিয়ে জাম গাছের কাছে আসে। বানর বলে, দোস্ত তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি আসছি। বানর তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ডেকে নিয়ে আসে। বলে, কুমিরকে শায়েস্তা করতে হবে ও আমার কলিজা খেতে চায়। এ কথা শুনে পুরো বানরকূল লাঠি নিয়ে কুমিরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ইচ্ছামত কুমিরকে ধোলাই দিতে থাকে। কুমির মারের চোটে দিশেহারা হয়ে বলে, আমাকে মারছো কেন? বানর বলে, বুঝতে পারছ না তোমাকে মারছি কেন? আমার কলিজা খেতে চাও! কলিজা আমার সঙ্গে কলিজা খেলে আমি মরে যেতাম। ভাগ্যিস বুদ্ধি খাটিয়ে চলে এসেছি তাই জানটা বেঁচে গেছে। কলিজা তো আমার বুকের ভেতর, কলিজা খেলে প্রাণে বাঁচা যায়? কুমির ভাবে হায় হায় আমি একি বোকামি করেছি! দোস্ত আমি ভুল করছি এবার আমাকে মাফ করে দাও। আমি আর কখনো এমন কথা বলবো না। তোমার বলা না বলায় কিছু আসে যায় না। আমার দোস্তি কাটাকাটি তোমার সঙ্গে। তোমাকে জানে মেরে ফেললাম না, যাও এবার বাড়ি যাও। তোমার বউ বাচ্চার জন্য তোমাকে ছেড়ে দিলাম। কুমির মাইর খেয়ে কাহিল হয়ে পড়েছে। সে আস্তে আস্তে পানিতে নেমে ভাবে, আগে জান নিয়ে বাঁচি। বানর বলে, তোমার সঙ্গে দোস্তি পাতানো উচিত না। কোন সম্পর্ক বা কোনো কাজ করার আগে ভেবেচিন্তে করা উচিত।
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com