কোরবানির পশুর দুধপান-হালচাষ জায়েজ?

কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। স্বাধীন মুসলিম ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তাকে কোরবানি দিতে হবে (আদ দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা-২১৯, খণ্ড-৫)। আল্লাহর ওপর শর্তহীন আনুগত্যের শিক্ষা আছে কোরবানিতে। রয়েছে ত্যাগের শিক্ষা। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-

 

(মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ: ৩৭)

মহান আল্লাহ আরো ইরশাদ করেছেন, (হে রাসুল!) আপনি বলুন- আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ (অর্থাৎ আমার সবকিছু) আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য উৎসর্গিত (সুরা-আনআম: ১৬২)।

 

কোরবানির পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েজ নেই। যেমন হালচাষ করা, আরোহন করা, পশম কাটা ইত্যাদি। সুতরাং কোরবানির পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করা হয়, তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিতে হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২/১৪৬; নায়লুল আওতার: ৩/১৭২; ইলাউস সুনান: ১৭/২৭৭; কাজিখান: ৩/৩৫৪; আলমগিরি: ৫/৩০০)

 

কোরবানির পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠাণ্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি কেউ দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দেবে। (মুসনাদে আহমদ: ২/১৪৬, ইলাউস সুনান: ১৭/২৭৭, রদ্দুল মুখতার: ৬/৩২৯, কাজিখান: ৩/৩৫৪, আলমগিরি: ৫/৩০১)

 

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানির যাবতীয় বিধি-বিধান যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার দায় নিতে হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

» দেশের অর্থনীতি ‘ফোকলা’ করে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ: মঈন খান

» ব্যবসায়ী শাহ আলম হত্যা মামলায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার

» পাউরুটি কীভাবে খেলে ওজন কমবে?

» সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা

» প্রকাশ্যে ক্যাটরিনার বেবিবাম্প!

» সহোদর দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

» অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপিকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল

» পূজার ছুটিতে পূর্বাঞ্চলে চলবে ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন

» কিমা পুরি তৈরির রেসিপি

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কোরবানির পশুর দুধপান-হালচাষ জায়েজ?

কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। স্বাধীন মুসলিম ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তাকে কোরবানি দিতে হবে (আদ দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা-২১৯, খণ্ড-৫)। আল্লাহর ওপর শর্তহীন আনুগত্যের শিক্ষা আছে কোরবানিতে। রয়েছে ত্যাগের শিক্ষা। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-

 

(মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ: ৩৭)

মহান আল্লাহ আরো ইরশাদ করেছেন, (হে রাসুল!) আপনি বলুন- আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ (অর্থাৎ আমার সবকিছু) আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য উৎসর্গিত (সুরা-আনআম: ১৬২)।

 

কোরবানির পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েজ নেই। যেমন হালচাষ করা, আরোহন করা, পশম কাটা ইত্যাদি। সুতরাং কোরবানির পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করা হয়, তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিতে হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২/১৪৬; নায়লুল আওতার: ৩/১৭২; ইলাউস সুনান: ১৭/২৭৭; কাজিখান: ৩/৩৫৪; আলমগিরি: ৫/৩০০)

 

কোরবানির পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠাণ্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি কেউ দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দেবে। (মুসনাদে আহমদ: ২/১৪৬, ইলাউস সুনান: ১৭/২৭৭, রদ্দুল মুখতার: ৬/৩২৯, কাজিখান: ৩/৩৫৪, আলমগিরি: ৫/৩০১)

 

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানির যাবতীয় বিধি-বিধান যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com