কোরবানির নিয়তে কেনা পশু অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে?

কোরবানির জন্য পশু নির্ধারণে মুখের উচ্চারণ দ্বারা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। এভাবে বলা যায় যে- ‘এ পশুটি আমার কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা হলো।’ তবে ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট করা যাবে না। এমন বলা যে- ‘আমি এ পশুটি কোরবানির জন্য রেখে দেব।’ কিন্তু কোরবানির জন্য কেনা বা নির্ধারিত পশু দিয়ে অন্য কোনো কাজ করানো যাবে কি?

 

না, কোরবানির জন্য কেনা বা নির্ধারিত পশু দিয়ে কোনো কাজ করানো যাবে না। পশু যখন কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা হয় তখন এর  কিছু বিষয় কার্যকর হয়ে যায়। আর তাহলো-

১. প্রথমত  এ পশু কোরবানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। দান করা যাবে না। বিক্রি করা যাবে না। তবে কোরবানি ভালোভাবে আদায় করার জন্য তার চেয়ে উত্তম পশু দ্বারা পরিবর্তন করা যাবে।

 

২. যদি পশুর মালিক মারা যায় তবে তার ওয়ারিশদের দায়িত্ব হল এ কোরবানি বাস্তবায়ন করা।

 

৩. কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুর থেকে কোনো ধরনের উপকার ভোগ করা যাবে না। যেমন- কোরবানির পশুর দুধ বিক্রি করা যাবে না। কৃষিকাজে ব্যবহার করা যাবে না। সওয়ারি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পশম বিক্রি করা যাবে না। যদি পশম আলাদা করে তাবে তা সাদকা করে দিতে হবে বা নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু বিক্রি করা যাবে না।

 

৪. কোরবানিদাতার অবহেলা বা অযত্নের কারণে যদি কোরবানির নির্ধারিত পশুটি দোষযুক্ত হয়ে পড়ে, চুরি হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায় তবে কোরবানি দাতার কর্তব্য হবে অনুরূপ বা তার চেয়ে ভাল একটি পশু ক্রয় করা। আর যদি অবহেলা বা অযত্নের কারণে না হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে দোষযুক্ত হয় তবে এ দোষযুক্ত পশু কোরবানি করা যাবে।

৫. যদি পশুটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়ে যায় আর কোরবানিদাতার উপর আগে থেকেই কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে তাহলে সে কোরবানির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবে।

 

৬. আর যদি আগে থেকে কোরবানি ওয়াজিব ছিল না কিন্তু সে কোরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করে থাকে তবে চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে তাকে আবার পশু কিনে কোরবানি করতে হবে।

 

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে কোরবানি করা প্রত্যেকের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।

 

হে আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়ম মেনে কোরবানির পশুর তদারকি ও কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।সূএ:জাগো নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

» যে কারণে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দিয়ে নতুন দল গড়েন গোয়েন্দা এজেন্ট এনায়েত

» ওষুধের দোকানের আড়ালে মদ বিক্রি, আইনজীবীসহ ৩জন আটক

» কবরে মৃতদেহ অক্ষত থাকা কি নেককার হওয়ার আলামত

» যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইরান

» সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি দু’ বছর কারাদণ্ড, জরিমানা কোটি টাকা

» রহস্যময় গোলাপি লেক, যেখানে বাঁচে না কোনো প্রাণী

» আরিয়ানের জন্য শাহরুখ-কাজলের মিলন

» সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের এই করুণ পরিণতি হতো না: দুদু

» স্বামী হাতে স্ত্রী খুন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কোরবানির নিয়তে কেনা পশু অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে?

কোরবানির জন্য পশু নির্ধারণে মুখের উচ্চারণ দ্বারা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। এভাবে বলা যায় যে- ‘এ পশুটি আমার কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা হলো।’ তবে ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট করা যাবে না। এমন বলা যে- ‘আমি এ পশুটি কোরবানির জন্য রেখে দেব।’ কিন্তু কোরবানির জন্য কেনা বা নির্ধারিত পশু দিয়ে অন্য কোনো কাজ করানো যাবে কি?

 

না, কোরবানির জন্য কেনা বা নির্ধারিত পশু দিয়ে কোনো কাজ করানো যাবে না। পশু যখন কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা হয় তখন এর  কিছু বিষয় কার্যকর হয়ে যায়। আর তাহলো-

১. প্রথমত  এ পশু কোরবানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। দান করা যাবে না। বিক্রি করা যাবে না। তবে কোরবানি ভালোভাবে আদায় করার জন্য তার চেয়ে উত্তম পশু দ্বারা পরিবর্তন করা যাবে।

 

২. যদি পশুর মালিক মারা যায় তবে তার ওয়ারিশদের দায়িত্ব হল এ কোরবানি বাস্তবায়ন করা।

 

৩. কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুর থেকে কোনো ধরনের উপকার ভোগ করা যাবে না। যেমন- কোরবানির পশুর দুধ বিক্রি করা যাবে না। কৃষিকাজে ব্যবহার করা যাবে না। সওয়ারি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পশম বিক্রি করা যাবে না। যদি পশম আলাদা করে তাবে তা সাদকা করে দিতে হবে বা নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু বিক্রি করা যাবে না।

 

৪. কোরবানিদাতার অবহেলা বা অযত্নের কারণে যদি কোরবানির নির্ধারিত পশুটি দোষযুক্ত হয়ে পড়ে, চুরি হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায় তবে কোরবানি দাতার কর্তব্য হবে অনুরূপ বা তার চেয়ে ভাল একটি পশু ক্রয় করা। আর যদি অবহেলা বা অযত্নের কারণে না হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে দোষযুক্ত হয় তবে এ দোষযুক্ত পশু কোরবানি করা যাবে।

৫. যদি পশুটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়ে যায় আর কোরবানিদাতার উপর আগে থেকেই কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে তাহলে সে কোরবানির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবে।

 

৬. আর যদি আগে থেকে কোরবানি ওয়াজিব ছিল না কিন্তু সে কোরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করে থাকে তবে চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে তাকে আবার পশু কিনে কোরবানি করতে হবে।

 

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে কোরবানি করা প্রত্যেকের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।

 

হে আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়ম মেনে কোরবানির পশুর তদারকি ও কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।সূএ:জাগো নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com