সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই বাংলাদেশে কোনো মাফিয়ার স্থান থাকবে না। থাকবে না সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। যেই বাংলাদেশ থাকবে বৈষম্যমুক্ত এবং প্রতিষ্ঠিত হবে ইনসাফ ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র। আমরা ১৪ জুলাই এমন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যই সারাদেশের ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদের সেই আন্দোলনে উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে। আমাদেরকে রাজাকারের নাতিপুতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। যার কারণে (১৫ জুলাই) থেকে দুর্বার আন্দোলন শুরু হয়েছে।
নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। যে বাংলাদেশ হবে শ্রমিকের, যেই বাংলাদেশ হবে নারীদের, যেই বাংলাদেশ হবে দিনমজুরের। যে বাংলাদেশে থাকবে না কোন বৈষম্য। থাকবে না কোনো স্বৈরাচারের স্থান। আমাদের এই পদযাত্রায় আপনারা ভালোবাসি অনেক ত্যাগ দেখিয়েছেন। আপনারা অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। যার কারণে ভোলায় শহীদের সংখ্যা বেশি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (এনসিপির) দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরের সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ভোলার সমস্যা সম্ভাবনার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ভোলায় প্রচুর পরিমাণে গ্যাস মজুদ রয়েছে। ভোলার গ্যাস ভোলায় কাজে লাগিয়ে উন্নত হোক এটা আমরা চাই। ভোলার মানুষ অনেক কষ্ট করে চিকিৎসা সেবা পায় না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হোক ভোলাবাসির এ সকল দাবির সাথে আমরা একমত।
মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, শহীদ হাসানের পিতা মনির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আক্তার মিতু, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, যুবশক্তি নেতা অ্যাডভোকেট রাসেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক সালমা আক্তার, ফারজানা আহমেদ, এনসিপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরিশাল অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়ক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, ভোলা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফ, জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী ইয়াসির আরাফাত, মু. মাকসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।